বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আটদিনেও চালু হয়নি। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট দেখা দিয়েছে।
সংকটের কারণে জিনিসপত্রের দামও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩২০ টাকায়। পঞ্চাশ-ষাট টাকার কমদামে কোনো ধরণের সবজি নেই। পেঁয়াজ, মোমবাতি, রসুন, ভৈজ্যতেল, জ্বালানী তৈল অকটেনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরণের জিনিসপত্রের সংকট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জসিম ও সিরাজুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, আটদিন ধরে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যায় মানুষের ঘরবাড়ি এবং বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডুবে যাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট তৈরি হয়েছে। চাহিদা থাকার পরও সরবরাহ না থাকায় পেঁয়াজ, মোমবাতি, তৈলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারছিনা। দ্বিগুণ দাম নেওয়ার অভিযোগটি সত্য নয়।
ভুক্তভোগী গৃহিণী ফাতেমা বেগম জয়নিউজকে বলেন, কেজি একশ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। পটল, কাকড়ল, ঢেঁড়শ, আলু ও অন্যান্য সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে চল্লিশ টাকা। মাছ-মাংসের বাজারের অবস্থাও একই রকম। খাদ্য সংকটে বন্যার্ত মানুষগুলোর ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর জয়নিউজকে বলেন, এক সপ্তাহের অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান-কেরানীহাট প্রধান সড়কের বাজালিয়া, দস্তিদারহাট এবং বরদুয়ারা তিনটি পয়েন্টে সড়কটি প্লাবিত হয়। সড়কটি ডুবে যাওয়া বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ৮দিন ধরে।
তবে মঙ্গলবার সড়কে বন্যার পানি অনেকটা কমেছে। বৃষ্টিপাত না হলে বুধবার থেকে সড়ক যোগাযোগ চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় জিনিসপত্র পরিবহণে খরচ বেড়েছে, এজন্য দামও কিছুটা বেড়েছে। তবে দ্রব্যমূল্যের অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।