চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠন জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাসে তাদের বিরুদ্ধে সুষ্পষ্ট ও কঠোর অবস্থানে রয়েছে চবি প্রশাসন।
একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে জামায়াত-শিবির সক্রিয় হচ্ছে বলে কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে গুজব বলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য শাখা থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে চবি প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, চবি ক্যাম্পাসে জামায়াত-শিবিরসহ প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি অনেকদিন ধরেই নিস্ক্রিয়। বর্তমান সময়েও সে সময়ের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা সংগঠিত হচ্ছে বলে যেসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে সেসব ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। এ ব্যাপারে চবি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত সচেতন ও তৎপর।
জামায়াত নেতার পিএইচডি সেমিনার সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রত্ব নেই এমন এক ব্যক্তির পিএইচডি সেমিনার করার ব্যাপারটিকে বারবার সামনে এনে একই সংবাদ প্রচার করে চবিতে জামায়াত-শিবিরের সক্রিয়তার বিষয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বর্তমান প্রশাসনের সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে ২০১৮ সালে ছাত্রত্বের মেয়াদ শেষ হলেও বিশেষ সুবিধা দিয়ে বিগত প্রশাসন হামিদুর রহমান আজাদের ছাত্রত্ব বহাল রেখেছিল এবং আবারও মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন গ্রহণ করেছিল। অথচ চবি প্রশাসন এ বিষয়ে অবগত হওয়া মাত্রই তাকে নিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে সেমিনার করায় চবি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তিনজন শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে; যা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে চবি ক্যাম্পাসে জামায়াত-শিবিরসহ প্রতিক্রিয়াশীলদের কোনো অস্থিত্ব নেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ ক্যাম্পাসে অত্যন্ত সুসংহতভাবে সহাবস্থান করছেন। জামায়াত-শিবিরসহ প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে চবির বর্তমান প্রশাসনের অবস্থান সুস্পষ্ট ও কঠোর।