চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা শেষ করে চাকরির পেছনে ছুটে সময় নষ্ট করেন। অথচ চাকরি মানে অপরের অধীন হয়ে কাজ করা। এতে সম্মানের কিছু নেই, বরং অসম্মানের। আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী হওয়া সম্মানের।
নিজের চেষ্টায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগ করে উদ্যোক্তা হওয়া হচ্ছে গৌরবের। এভাবে একদিন বড় বিনিয়োগকারী হওয়া যায়। এতে নিজেকে স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি শিক্ষিত অনেক বেকারের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। ভূমিকা রাখা যায় দেশের অর্থনীতিতে।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) হাটহাজারীর নন্দীরহাট এলাকায় এশিয়ান এগ্রোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, একটা সময় ছিল পাশের দেশ ভারত থেকে গরু এনে আমাদের দেশের মাংসের চাহিদা পূরণ করা হতো। এখন আর সেই দিন নেই। এদেশের এখন অনেক খামার গড়ে উঠেছে। তরুণ উদ্যোক্তারা এখাতে বিনিয়োগ করছে। তাই এখন আর ভারতের গরু আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয় না। কোরবানীতে বাড়তি গরুর চাহিদাও দেশের গরু দিয়ে মেটানো যায়। শিক্ষিত বেকাররা উদ্যোক্তা হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
এশিয়ান এগ্রোর উদ্যোক্তা ও এশিয়া গ্রুপের পরিচালক ওয়াসিফ আহমেদ সালাম বলেন, আমি এ খাতে বিনিযোগ করেছি দাদার অনুপ্রেরণায়। সকলের সহযোগিতা পেলে এগ্রো শিল্পের প্রসারে ভূমিকা রাখতে পারবে। পাশাপাশি চেষ্টা থাকবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করার।
এখাতে বিনিয়োগ শুধু ব্যবসা নয়, ভেজালমুক্ত ও নিরাপদ খাদ্য সরবরাহও আমার উদ্দেশ্য। এছাড়া এশিয়ান এগ্রোর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মাংস ও দুধের চাহিদা মেটানো সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন ওয়াসিফ সালাম।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. আবদুস সালাম, চেম্বার পরিচালক এসএম আবু তৈয়ব, এশিয়ান গ্রুপের ডিএমডি সাকিফ সালাম, নাহার এগ্রো লিমিটেডের চেয়ারম্যান রাকিবুর রহমান টুটুল, ইউসিবিএল ব্যাংকের পরিচালক বশির আহমেদ।