কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভারতের উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের একটি গেস্ট হাউসে আলো-পানি ছাড়াই রাত কাটিয়েছেন। প্রদেশটির বারানসিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে শুক্রবার (১৯ জুলাই) তাঁকে আটক করে পুলিশ।
ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাতে রাজ্য সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে ফিরে যেতে বলেন। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা সাফ জানিয়ে দেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা না করে যাবেন না।
সন্ধ্যায় ৫০ হাজার টাকা মুচলেকার বিনিময়ে প্রিয়াঙ্কাকে মুক্তির প্রস্তাব দেয় রাজ্য সরকার। গেস্ট হাউসের আলো-পানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা জানান, এভাবেই এখানে প্রয়োজনে দশদিন থাকব। কিন্তু নিহতের পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা না করে ফিরব না।
রাতে বেশ কয়েকটি টুইট করেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি জানান, আনুমানিক রাত সাড়ে ১২টার দিকে বারানসি পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রজভূষণ অন্যান্য শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে চুনার দুর্গ নামের ওই গেস্ট হাউসে যান। আটক করার পর সেখানে রাখা হয় তাঁকে।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লিখেছেন, ‘তারা আমাকে কেন কাস্টডিতে নিয়েছে তার ব্যাখ্যা আমাকে দিতে পারেনি। এমনকি তারা আমাকে কোনো কাগজও দেখাতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি, কোনো আইন লঙ্ঘন করার উদ্দেশ্যে আমি এখানে আসিনি, আমি এসেছি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। আমি তাদেরকে বলেছি, আমি সেসব পরিবারের সঙ্গে কথা না বলে কোনোভাবেই যাব না।’
চলতি সপ্তাহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে উত্তর প্রদেশের সোনভদ্রা জেলায় নারীসহ ১০ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার ওই গ্রামে যাওয়ার পথে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়।
অপরাধ বৃদ্ধি ও আইনের শাসন নেই বলে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের সমালোচনায় মুখর প্রিয়াঙ্কা।- আনন্দবাজার
জয়নিউজ/আরসি