বন্দরের বাইরে তীব্র যানজট নিরসনে নগরের জন্য প্রস্তাবিত দুইটি রিং রোড বাস্তবায়ন জরুরি।
শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে বন্দর ভবনের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড-বড়পুল-আনন্দবাজার-ইপিজেড সড়ক এবং জিইসি-সাগরিকা-বেড়িবাঁধ সড়ক দ্রুত বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম শহরের লাইফ লাইন খ্যাত এয়ারপোর্ট-আগ্রাবাদ-লালখানবাজার সড়কে যানজটের তীব্রতা কমে আসবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ইতোমধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নিচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর নতুন নতুন যান্ত্রিক উপকরণ সংযোজন ও ইয়ার্ড সম্প্রসারণের মাধ্যমে কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে।
এ সময় যানজটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে বন্দরের বাইরে নগরের বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চট্টগ্রাম ও বন্দর সংলগ্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় এবং সেইসঙ্গে বন্দরের বাইরে যানজটের সৃষ্টি হয়। যা কোনো অবস্থাতেই চট্টগ্রাম বন্দরের কারণে হয় না।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর পর গত ৬ মে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৬০০ এবং রমজান মাসে গত ১২ জুন ৪ হাজার ৮০০ টিইইউ’স কনটেইনার ও কার্গো ডেলিভারি হয়। এ সময়ে বন্দরের বাইরে যানজট দেখা যায়নি।
বন্দর চেয়ারম্যান জানান, বন্দরে প্রতিদিন ৭ হাজার ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও ট্রেইলার ঢোকে। ট্রাক টার্মিনাল না থাকায় সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার গাড়ি বন্দরে ঢোকার জন্য বিভিন্ন গেট ও মূল সড়কে অবস্থান করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম, সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন), সচিব ওমর ফারুক প্রমুখ ।
জয়নিউজ/হিমেল/আরসি