হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের দু’টি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২১ জুলাই) ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রথম মামলাটি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এরপর ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান নোমানের আদালতে আরেকটি মামলা করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ইব্রাহীম খলিল।
আদালত মামলা দু’টি খারিজের আদেশে বলেন, যেহেতু মামলাটিতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ অনা হয়েছে, সেখানে বাদীপক্ষ রাষ্ট্রের কোনো অনুমতি নিয়ে আসেনি। বাদীপক্ষ রাষ্ট্রের কোনো এজেন্সি নয় এবং সঠিক নিয়মে মামলাগুলি দায়ের করা হয়নি, তাই মামলা খারিজ করা হলো।
এর আগে সকালে মামলা দু’টি দণ্ডবিধির ১২৩ (এ), ১২৪ (এ) ও ৫০০ ধারায় করা হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারায় বাদীদের জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে আদালত জানান।
বাদীরা তাদের জবানবন্দিতে বলেন, আসামি প্রিয়া সাহা মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন বাদীদ্বয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই প্রিয়া সাহা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অসত্য তথ্য দেন। সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রিয়া সাহা বলেন, বাংলাদেশে ৩৭ মিলিয়ন হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশেই বসবাস করতে চাই। আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, আমার জমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখনো এর কোনো বিচার হয়নি।