রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, পর্যাপ্ত কোচ থাকলেও রেলের শিডিউল রক্ষায় ইঞ্জিন সংকট সবচেয়ে বড় বাধা। চলমান ট্রেনগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন দ্বারা চালাতে গিয়ে শিডিউল ঠিক রাখা যাচ্ছে না। এজন্য ভারত থেকে ২০টি ইঞ্জিন ভাড়ায় আনার বিষয়টি বিবেচনা করছে রেলওয়ে।
বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২টায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পাহাড়তলী কারখানা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইঞ্জিন সংকট থাকলেও চলতি বছরে ২২০টি অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী কোচ দেশে পৌঁছাবে। এসব কোচ দিয়ে চলতি বছরে ৫টি ও ২০২০ সালের জুনের মধ্যে ৭টি নতুন ট্রেন চালু করা হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, একসময় রেলওয়ের অনেক সুনাম ছিল। সেই সুনাম আবারও ফিরিয়ে আনতে পুরো রেলবিভাগ নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য বিশেষ অ্যাপ চালুও রেলওয়ের ডিজিটাল সেবার অংশ।
মিটারগেজের ২৬টি কোচ দিয়ে নতুন ট্রেন চালু করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রংপুরে মাত্র একটি ট্রেন যাওয়া-আসা করে। যেটির জন্য বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি। কারণ ৫ঘণ্টা থেকে ৬ঘণ্টা ওই ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। সেটি মাথায় রেখে নতুন ২৬টি কোচ দিয়ে ঈদের আগেই একটি নতুন ট্রেন ওই রুটে যুক্ত করা হবে।
চট্টগ্রামে পরিদর্শন ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, সকালে হালিশহর রেলওয়ের ট্রেনিং অ্যাকাডেমি পরিদর্শন করে সেখানকার বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছি। আসার পথে রেলওয়ের বিভিন্ন স্থাপনা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা ভবন দেখেছি। এছাড়া পোর্টইয়ার্ডও পরিদর্শন করেছি। রেলের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার সবই আমাদের সরকার করবে।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৩টি নতুন ব্রডগেজ ট্রেন চালু হয়েছে। আরও ১২টি ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। এছাড়া ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৮টি নতুন বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এতে ১ হাজার ৪০০ জন অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা সম্ভব হবে।
কোরবানি ঈদের প্রস্তুতি নিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, চলাচলের জন্য ১০০টি ট্রেন মেরামত করা হয়েছে। রোজার ঈদে যেভাবে আমরা যাত্রীদের সুবিধার্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, একই ব্যবস্থা কোরবানের ঈদেও নিচ্ছি। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে। এক্ষেত্রে সকল চাপ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে কর্মকর্তারা। অ্যাপসের মাধ্যমে ভোর ৬টা থেকে ও কাউন্টারের মাধ্যমে সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।