রোহিঙ্গা বিতাড়নের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নেই বলে জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার। শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট আইসিসির এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত দুর্দশার বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে সেখানে অভিযোগ সাজানো হয়েছে, যার সঙ্গে আইনি যুক্তির কোনো যোগাযোগ নেই। বরং আবেগের জায়গা থেকে আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এর প্রি-ট্রায়াল চেম্বারের তিন বিচারকের প্যানেল রাখাইনে সংঘটিত অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার আইসিসির রয়েছে বলে রায় দেয়। রায়ে বলা হয়, রোম সনদ অনুযায়ী ঘটনার তদন্ত করার ক্ষমতা এই আদালতের রয়েছে।
গত বছরের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। সে সময় বাঁচার জন্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে আখ্যায়িত করে জাতিসংঘ। এ ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা মিয়ানমারের নিন্দা জানায়।
আইসিসির ব্যাপারে মিয়ানমার বলে আসছে, যেহেতু তারা আইসিসির সদস্য নয়, সেহেতু তাদের বিচার করার এখতিয়ার নেই এই আদালতের। তবে আইসিসি বলছে এটি যদি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় হতো তাহলে আইসিসির এখতিয়ার ছিলো না। কিন্তু এই বিষয়টি বাংলাদেশকেও যুক্ত করেছে। আর বাংলাদেশ যেহেতু আইসিসির সদস্য তাই এই ঘটনার বিচার করার এখতিয়ার রয়েছে আইসিসির।
জয়নিউজ/আরসি