প্রবাসী শহিদুল আলম। ২৪ বছর ধরে থাকেন দুবাই। নগরের মোহাম্মদপুরে তার বাসা। প্রতিবছর অন্তত একবার দেশে আসেন। এবার তিনি দেশে আসেন ১৬ জুন।
শহীদুলের বাসায় কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করতেন তার ভায়রা মঈনুদ্দিন শফির ছেলে মো. জামাল উদ্দিন (৩০)। জামাল উদ্দিন বিবাহিত ও এক মেয়ের বাবা।
বিবাহিত হলেও সে তা গোপন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কলেজ পড়ুয়া এক তরুণীর সঙ্গে। প্রেমিকাকে নিয়ে দেশান্তরী হওয়ার পরিকল্পনা করে সে। কিন্তু বাঁধ সাধে আর্থিক সামর্থ্য। তাই চুরি করে পালানোর সিদ্ধান্ত নেয় জামাল।
সুযোগও চলে আসে জামালের হাতে। গত ১৯ জুন সকাল ৮টায় গৃহকর্তা শহিদুল আলম জামালকে ২০ ভরি স্বর্ণ দিয়ে সেগুলো বিক্রি করে নগদ টাকা নিয়ে আসতে বলে।
কিন্তু ২০ ভরি স্বর্ণ ও মালিকের বাসা থেকে আরো ১ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ নিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে পালায় জামাল। একবার ঢাকা, একবার গাজীপুর, এভাবে বারবার অবস্থান পাল্টাতে থাকে জামাল ও তার প্রেমিকা। এর মধ্যে পাসপোর্ট করার জন্য জামাল তার প্রেমিকাকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে চট্টগ্রাম পাঠায়।
তবে মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে অবশেষে শুক্রবার (২৬ জুলাই) ফটিকছড়ির ধর্মপুরের নিজ বাড়ি থেকে জামালকে আটক করে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া জয়নিউজকে বলেন, কথিত প্রেমিকাকে নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে চুরি করা স্বর্ণ ও টাকাসহ জামালকে আটক করা হয়েছে। আগামীকাল (শনিবার) তাকে আদালতে হাজির করা হবে।