নবম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিক-কর্মচারী ছাঁটাই, চাকুরিচ্যুতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন- সিইউজে।
সিইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈনুদ্দিন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস এক বিবৃতিতে সংবাদপত্র মালিকদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্যান্য পেশায় যখন সরকার নতুন পে- স্কেল ঘোষণা করে, তখন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। অথচ গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ওয়েজবোর্ড মানে চাকরি হারানোর আতঙ্ক।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একদিকে পত্রিকা মালিকরা বিজ্ঞাপনের বর্ধিত মুল্য, শুল্কমুক্ত নিউজপ্রিন্ট আমদানিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করবে, অন্যদিকে গণমাধ্যম কর্মীদের ছাঁটাই করবে- তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে সকল গণমাধ্যম কর্মীকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সংবাদপত্রে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি, গণহারে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির ঘটনায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের ‘রহস্যজনক’ নীরবতার কঠোর সমালোচনা করে সব সংগঠনকে গণমাধ্যম কর্মীদের স্বার্থে রাজপথে নামার আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে পাওয়ার জন্য ওই সব সংগঠনের নেতাদের ভোট দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরাই নির্বাচিত করেন। অথচ ভোটের পর হালুয়া-রুটির ভাগ-বাটোয়ারায় ওইসব নেতারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর এই সুযোগটি গ্রহণ করেন গণমাধ্যম মালিকরা।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংবাদপত্র থেকে সাংবাদিক-কর্মচারীদের ছাঁটাই বন্ধে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
জয়নিউজ/আরসি