ভারতের জি বাংলার রিয়্যালিটি শো ‘সা রে গা মা পা’ দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন গোপালগঞ্জের ছেলে মাঈনুল আহসান নোবেল। সেকেন্ড রানারআপ হওয়ার আগেই তার চ্যাম্পিয়ন না হওয়া নিয়ে ভক্তদের মাঝে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি তার একটি সাক্ষাৎকারে ঝড় উঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ওই সাক্ষাৎকারে নোবেল জানান, আমার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকে বলতে চাই, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটির চেয়ে জেমসের গাওয়া এবং প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘বাংলাদেশ’ গানটি ঐতিহ্যকে অনেক সুস্পষ্ট করে। আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতো ‘বাংলাদেশ’ গানটিকে জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানাই।
তিনি আরো জানান, এই গানটি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ গানগুলোর মধ্যে একটি।
তবে গায়ক রূপমের মতে, যে গানটি নিয়ে এত কথা হচ্ছে, তা উচ্চশ্রেণির কোনো গান বলে মনে করি না। জাতীয় সংগীত হওয়া তো দূরের কথা। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত যা আছে, ঠিক আছে।
বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন বা স্বদেশি আন্দোলনের সময় ১৯০৫ সালে বিশ্বকবি ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি রচনা করেন। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেতারা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসাবে
এই গানটিকে নির্বাচন করেন। এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এতে সম্মতি দেন।
জয়নিউজ/আরসি