কোরবানির ঈদ কড়া নাড়ছে দুয়ারে। নগরের প্রধান হাটগুলোতে ছোট-বড় কোরবানির পশু উঠতে শুরু করেছে। আসছে পশু খাদ্য, কামারের দোকানগুলোও এখন ব্যস্ত দা-ছুরি তৈরির কাজে।
এদিকে ঈদকে ঘিরে মসলা ও পেঁয়াজ-রসুনের দাম বাড়ানো শুরু করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এলাচ, লবঙ্গ ও দারুচিনির দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। একইসঙ্গে আদা, পেঁয়াজ ও রসুনের দামও বেড়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) নগরের কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে ১৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া আমদানিকৃত চায়না আদা এখন বিক্রি হচ্ছে (প্রতি কেজি) ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগে যা বিক্রি হয়েছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। আমদানিকৃত চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ টাকা কেজি। আর দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৪০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া গোলমরিচ, হলুদ, মরিচ গুঁড়া, জয়ত্রী, এলাচ ও দারুচিনির দামও বেড়েছে। প্রতি কেজি এলাচ ও জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকার উপরে। এর বাইরে লবঙ্গ ৮৫০ টাকা, গোলমরিচ ৬০০ টাকা, জিরা সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ও দারুচিনি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রিয়াজউদ্দিন বাজারের মসলার দোকানের বিক্রেতা কামাল হোসেন জয়নিউজকে বলেন, এলাচের দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। প্রতি কেজি এলাচ এখন পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকার উপরে।
আল আমিন স্টোরের বিক্রেতা আমিন উল্লাহ জয়নিউজকে বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই নগরের পাইকারি বাজারে আদা ও রসুনের দাম বাড়তি।
তবে রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জয়নিউজের সঙ্গে আলাপকালে দাবি করেন, চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় বেশি দাম দিয়ে মসলা আনতে হচ্ছে। তাই খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়াতে হয়েছে।
বাজারে মসলা কিনতে আসা আরিফ জয়নিউজকে বলেন, দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের কারসাজি। তারা প্রতিবার কোরবানির ঈদের এক থেকে দেড় মাস আগেই মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এই অসাধু তৎপরতা বন্ধ করতে সরকারের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম আরো জোরদার করার বিকল্প নেই।
কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন জয়নিউজকে বলেন, সপ্তাহখানেক আগ থেকেই মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। ভোক্তাদের যাতে বেশি দামে মসলা কিনতে না হয় সেজন্য প্রশাসনের বাজার তদারকি বাড়াতে হবে।