হটলাইনে অভিযোগ পেয়ে চট্টগ্রামে রেলওয়ের মালিকানাধীন তিনটি বড় জলাশয় (দীঘি) ইজারায় অনিয়ম তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে দুদক চট্টগ্রামের একটি টিম এ তিনটি জলাশয় সরেজমিনে পরিদর্শন করে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ভূ-সম্পদ বিভাগ থেকে ইজারা সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইজারায় অনিয়মের সঙ্গে দখল হয়ে যাওয়া জলাশয়ের আশপাশের রেলওয়ের ভূমিগুলোও উদ্ধারে কাজ করবে দুদক।
দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবীর চন্দন বলেন, সোমবার আমরা হটলাইন নম্বরে (১০৬) অভিযোগ পেয়ে আগ্রাবাদ জোড় ডেবা, পাহাড়তলী ডেবা ও ভেলুয়ার দীঘির আশপাশের ভূমি উদ্ধারে তদন্তে নেমেছি।
প্রাথমিক তদন্তে আমরা পেয়েছি, ওইসব জায়গায় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এর সঙ্গে রেলের একশ্রেণির কর্মকর্তারাও জড়িত।
তিনি আরো বলেন, ইজারা সংক্রান্ত কাগজ এবং কারা দখল করে আছে, সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। কমিশনে দুয়েকদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেব। এরপর আমরা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে দীঘি ও আশপাশের সরকারি সম্পদ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করব। রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখলমুক্ত করতে উদ্ধার অভিযান চালানোর বিষয়টি দুদকের শিডিউলে আছে।
তবে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ইশরাত রেজা জানিয়েছেন, দুদক পরিদর্শনে যাওয়ার আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। ওই তিনটি জলাশয়ে কোনো অনিয়ম নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।