বাঙালির শেকড় গ্রামে। তাই উৎসবে আয়োজনে নাগরিক বাঙালি নাড়ির টানে ছুটে যায় গ্রামে। বরাবরের মতো আসন্ন ঈদুল আযহাও স্বজন-প্রিয়জনদের সঙ্গে উদযাপনে নগর ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেল ঘরমুখো মানুষের ভিড়। ঈদ আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অধীর তারা। দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় মহানগর এক্সপ্রেস।
দেখা যায়, যারা আগাম টিকিট কিনেছেন, তারাই বৃহস্পতিবার যাত্রা করছেন। নির্ধারিত আসনের বাইরে দাঁড়িয়ে বা ট্রেনের ছাদে চড়ে যাত্রা করতে দেখা যায়নি কাউকে।
আগামী সোমবার (১২ আগস্ট) পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদের আগে শুক্র ও শনিবার (৯ ও ১০ আগস্ট) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) অফিসে হাজিরা দিয়েই নগর ছেড়েছেন। সে হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ঘরমুখো মানুষের স্রোত ছিল রেলস্টেশনে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে আন্তঃনগর ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। মহানগর গোধূলী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে বিকাল ৩টায়, চাঁদপুর স্পেশাল-২ ছাড়বে বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস বিকাল ৩টা ৩০মিনিট, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে বিকাল ৫টায় ও মেঘনা এক্সপ্রেস চাঁদপুরের উদ্দেশে্ ছাড়বে বিকাল ৫টা ১৫মিনিটে।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কমর্কতা নাইম উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। ঈদ ছাড়া বাড়িতে তেমন যাওয়া হয় না।
রাফি নামে এক যাত্রী বলেন, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি যাচ্ছি। স্বজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে রয়েছে অন্যরকম আনন্দ।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার নাজিম জয়নিউজকে বলেন, যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে আমরা চেষ্টা করছি। ঈদ উপলক্ষে স্টেশনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাত্রীদের যাতে কোনো দুর্ভোগ না হয়, সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
জয়নিউজ/আরসি