নগরের সরকারি সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের উদ্যোগ নিয়েছেন নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ লক্ষ্যে ৩২টি সেবা সংস্থা, জনপ্রতিনিধি ও পেশাজীবীদের নিয়ে এক সমন্বয় বৈঠক আয়োজনের কথা জানিয়েছেন তিনি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের উদ্যোগে সচিবালয়ে চট্টগ্রামের প্রথম উন্নয়ন সমন্বয় সভার পর এলো এমন সিদ্ধান্ত।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে চসিকের সম্মেলন কক্ষে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ আর্কিটেকচার এন্ড আরবানিজমের নির্বাহী পরিচালক আদনান জিল্লুর মোরশেদের উদ্যোগে “ভবিষ্যতের চট্টগ্রাম: আমাদের করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভায় মেয়র এ ঘোষণা দেন।
সভায় চট্টগ্রামের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে সমুন্নত রেখে ভবিষ্যতের চট্টগ্রাম বিনির্মাণে মেয়র সব সংস্থার কাজে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামে দৃশ্যমান উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু সমন্বয়হীনতার কারণে এর সুফল জনগণ ভোগ করতে পারছে না। অন্য সংস্থাগুলো তাদের মতো করে প্রকল্প নিয়ে বাস্তবায়ন করে। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে প্রকল্প নেওয়ার আগে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
বৈঠকের পর ভবিষ্যতের চট্টগ্রামের জন্য করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্তসমূহ উপস্থাপন করা হবে বলেও মেয়র জানান।
সমন্বয় ছাড়া ভবিষ্যতের চট্টগ্রাম বিনির্মাণ সম্ভব নয় বলে মনে করেন সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষও। সভায় তিনি বলেন, সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতিই শেষ কথা। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ সেবা সংস্থাগুলোকে সমন্বিতকরণে একমাত্র নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাসেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, সিডিএ’র প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুর ইসলাম খান, স্থপতি ফজলে ইমরান চৌধুরী, সুস্থ নারী-সমৃদ্ধ জাতির নির্বাহী পরিচালক সাদিয়া আহমেদ ও সিডিএ’র কর্মকর্তা মো. শামিম উপস্থিত ছিলেন।