সোমবার (১২ আগস্ট) সারাদেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের নামাজ ও পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে উদযাপন করবে অন্যতম বৃহত্তম এই ধর্মীয় উৎসব।
হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে শুরু হয় কোরবানির এই প্রচলন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে হযরত ইবরাহীম (আ.) তাঁর প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন।
ওই অনন্য ঘটনার স্মরণেই ঈদুল আযহায় পশু কোরবানির এ রেওয়াজ চালু হয়। মহান আল্লাহ পাকের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন এবং তাঁরই রাস্তায় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের এ ঐতিহাসিক ঘটনার ধারাবাহিকতায় মুসলিম বিশ্বে কোরবানি ও ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়ে আসছে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নেতৃবৃন্দও দেশবাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঈদ উপলক্ষে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। দেশের সকল কারাগার, সরকারি হাসপাতাল, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, শিশুসদন, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র, সেফ হোমস, দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্র এবং শিশু ও মাতৃসদনে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও বিনোদনমূলক বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
জয়নিউজ/আরসি