চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হল ১৬তম ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় চুয়েট প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে আনন্দ র্যালি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
চুয়েট মেডিকেল সেন্টারে রক্তদান কর্মসূচি, বৃক্ষরোপণ, প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের পর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন উপাচার্য।
এরপর দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রণজিৎ কুমার সূত্রধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রহমান ভূইয়াঁ, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।
এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘‘রোল অব ইঞ্জিনিয়ারিং ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট”। এতে রিসোর্স পারসন হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ আনোয়ারুল ফাত্তাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলম সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, চুয়েটের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং ল্যাবরেটরিগুলোর আধুনিকায়ন হয়েছে। বিশ্ব এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই আমাদের প্রকৌশলীদের তৈরি করতে হবে। আমাদের একাডেমিক কার্যক্রমকেও নতুন করে ডিজাইন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাব্রিকেশন ল্যাব চালু করা হয়েছে। যেটাকে ডিজিটাল ম্যানুফেকচারিংয়ের কারখানা বলা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীল যে কোন আইডিয়া এখানে বসেই ম্যানুফ্যাকচার (উৎপাদন) করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি একনেক অনুমোদিত ৩২০ কোটি টাকার ডিপিপি থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা যন্ত্রপাতি কেনার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আশা করি এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়েটের শিক্ষা-গবেষণার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন সহকারী রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান। বিকেলে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শিক্ষক বনাম ছাত্র এবং কর্মকর্তা বনাম কর্মচারী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিআইটি, চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠান থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চুয়েটের যাত্রা শুরু হয়। এ বছর দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে হওয়ায় ১ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে এবার ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়।
জয়নিউজ/এইচডি/জেডএইচ