চিকিৎসকদের কাছে এবারের ঈদটা একটু ভিন্ন। অন্যান্যবার ছুটি নেওয়া গেলেও এবার নির্দেশ এসেছে সবাইকে কর্মস্থলে থাকার। তাই সবাই যখন ঈদের আনন্দে মশগুল তখন স্যালাইন-সিরিঞ্জ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
শুধু চিকিৎসক নন, এবার নার্স ও আয়ারাও পাননি ঈদের ছুটি। তাদেরও ঈদের দিন ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে রোগীর সেবায়।
ঈদের দিনেও দায়িত্ব পালন করতে কেমন লাগছে জিজ্ঞেস করলে হাসিমুখেই উত্তরটা দিলেন জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালের চিকিৎসক নাসরিন আক্তার।
তিনি বলেন, একটু যে খারাপ লাগছে না তা বলবো না। তবে এই খারাপ লাগাটা ভালো লাগায় পরিণত হয়ে যায় যখন দেখি আমাদের সেবায় হাসি ফুটে উঠেছে রোগীর মুখে।
তিনি জয়নিউজকে বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রোগীদের সেবা দিতে হবে। আবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ডাটা পাঠাতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও এসে রোগীদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে তৎপর নার্সরাও। রোগীরা সুস্থ থাকলে পরে গিয়ে বাড়িতে ঘুরে আসবো।
তিনি আরো বলেন, এই ঈদের দিনেও একঝাঁক তরুণ চিকিৎসক ও নার্স প্রিয় মানুষের কথা ভুলে হাসিমুখে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন দেখতেই ভালো লাগে। এটি একদিকে যেমন গর্বের, অন্যদিকে প্রশান্তির।
জেনারেল হাসপাতালের ডা. আয়েশা সিদ্দিকা জয়নিউজকে বলেন, প্রতিবছর ঈদুল আজহায় গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কোরবানি দিতাম। যেহেতু শ্বশুরবাড়ি নেই, তাই আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি গিয়ে আনন্দ করতাম। ঈদের দিনের আনন্দটাই অন্যরকম। এবার ছুটি নেই। তাই যাওয়া হবে না। চিকিৎসকসহ রোগীদের সবসময় খোঁজ রাখতে হবে।
জেনারেল হাসপাতালের নার্স শীলা দাশ বলেন, এ বছর সরকারিভাবে সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাই চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ আমরা সবাই নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছি, যাতে রোগীরা কোনোভাবেই সেবা থেকে বঞ্চিত না হন।
এদিকে চিকিৎসক ও নার্সদের পাশাপাশি ঈদের দিনও কাজ করছেন আয়ারা। জেনারেল হাসপাতালের আয়া রওশন আরা বেগম বলেন, ঈদের দিন পরিবারে সঙ্গে সময় কাটাতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু আমার তো একটা দায়িত্ব আছে। হাসপাতালে ময়লা থাকলে রোগীদের অনেক সমস্যা হয় । তাই ঈদের দিনেও কাজ করছি।
জয়নিউজ/বিআর