নির্ধারিত দাম না পাওয়ায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে চামড়া ফেলে গেছেন ব্যবসায়ীরা। শেষ খবর পর্যন্ত ফেলে যাওয়া চামড়া সংগ্রহে কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে ফেলে যাওয়া চামড়া পরিদর্শনে নগরের বিভিন্ন সড়কে বের হন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ সময় মেয়র দ্রুত সব চামড়া পরিষ্কার করার নির্দেশনা দেন।
চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দীকি জয়নিউজকে বলেন, প্রায় লাখখানেক চামড়া বিভিন্ন সড়কে ফেলে যান ব্যবসায়ীরা। চসিকের ৩০টি গাড়ি এখন সেগুলো সরাতে কাজ করছে। আরেফিন নগর, হালিশহর, হামজারবাগে বেশিরভাগ চামড়া পড়ে রয়েছে। রাতের মধ্যেই সব সরানো হবে।
এবারের কোরবানির ঈদে ভয়াবহ দরপতন হয়েছে চামড়ার। সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দামে চামড়া না কেনায় এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। নির্ধারিত দামের অর্ধেকও না পাওয়ায় অনেকেই মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন চামড়া।
সরকার নির্ধারিত দাম না মেনে চামড়া কেনার অভিযোগ উঠেছে আড়তদার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। আড়তদার ব্যাবসায়ীরা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা এখনো আগের বছরের দাম পরিশোধ করেনি। তাই আমরা নির্ধারিত দামে চামড়া কিনতে পারছি না।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) পর্যন্ত ৫০ টাকা দরে ৩ লাখ কোরবানি পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছে আড়তদার ব্যবসায়ীরা। যদিও চট্টগ্রামে সাড়ে ৫ লাখ পিস গরুর চামড়া ও ৮০ হাজার পিস ছাগলের চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন তারা।
তাদের ধারণা, চট্টগ্রামে এবার ৪ লাখ গরু, ১ লাখ ২০ হাজার ছাগল, ১৫ হাজারের মতো মহিষ এবং ১৫ হাজারের মতো ভেড়া কোরবানি দেওয়া হয়েছে।
চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী। চামড়া ব্যবসায়ী আলম জয়নিউজকে বলেন, চৌমুহনী থেকে ৩০০ চামড়া কিনে বিক্রি করতে এসেছি। আমরা যেখানে ৩০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছি সেখানে আড়তদাররা প্রতিটি চামড়া ৫০ টাকা নিচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় ফেলে যাচ্ছি।