আজ শুক্রবার ভাদ্রের প্রথমদিন। ঋতুচক্রের বর্ষ পরিক্রমায় শরতের আগমন ঘটে বর্ষার পরেই। বর্ষার বিষন্নতা পরিহার করে শরৎ আসে। তবে শরৎ এবার বৃষ্টিভেজা হয়েই এল।
গ্রামীণ প্রকৃতিতে শরৎ আসে সাড়ম্বরে। আবার, এই শরতেই হয়ে থাকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
সাদা সাদা মেঘ নীল আকাশের বুকে উড়ে বেড়ানোর অপরূপ দৃশ্যেরও দেখা মিলবে এ ঋতুতে। উৎকট গরমও থাকবে না। দিন ছোট হয়ে আসবে, ঠাণ্ডা হতে থাকবে আবহাওয়া।
বাংলাদেশের ছয় ঋতুর তৃতীয় এ শরৎকাল। পৃথিবীর চার প্রধান ঋতুর একটিও এটি। শরৎকে ইংরেজিতে ‘অটাম’ হিসেবে ডাকা হলেও উত্তর আমেরিকায় এটিকে ‘ফল’বলা হয়। এ ঋতুতে ফুটবে কাশফুল, বকফুল, শেফালি/শিউলি, গগণশিরীষ, ছাতিম, হিমঝুরি, মিনজিরি, পাখিফুল, পান্থপাদপসহ নানা জাতের ফুল।
সাদা মেঘের পাশাপাশি কালো মেঘও বিরাজ করবে এ সময়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবারের শরৎকাল অনেকটা স্বাভাবিক আচরণই করবে।
আগস্ট থেকে অক্টোবর–এ তিন মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগস্টে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। আর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এছাড়া আগস্ট মাসে দুই থেকে তিনটি বর্ষাকালীন লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাসে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি বর্ষাকালীন নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ইতোমধ্যে একটি লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আরেকটি লঘুচাপ সম্প্রতি বয়ে গেছে।
সেপ্টেম্বরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ হতে পারে। অক্টোবরেও দু-একটি নিম্নচাপ হতে পারে। এর মধ্যে অন্তত একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। অক্টোবরে প্রথমদিকেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে। বর্ষা বিদায় নেওয়ার পরপরই বিদায় নেবে শরৎকালও।