প্রায় ১৭ বছরেও সংস্কার হয়নি কাপ্তাইয়ের ট্রানজিট পয়েন্ট আপস্ট্রিম জেটিঘাট সড়ক। অথচ প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করছে সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত লেকভিউ আইল্যান্ড পর্যটন কেন্দ্র দর্শন, রাঙামাটি সদর, বিলাইছড়ি, লংগদু, মাইনী ও জুরাছড়িসহ ৬টি উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র পয়েন্ট এই আপস্ট্রিম জেটিঘাট। সর্বশেষ ২০০২ সালে সংস্কার করার পর প্রায় ১৭ বছর অতিবাহিত হলেও সড়কটি আর সংস্কার হয়নি।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কটির বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে এসব গর্ত কাদা-পানিতে একাকার হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
অটোরিকশাচালক মো. হারুন জয়নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার না করায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে গিয়ে প্রায় সময়ই গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যাচ্ছে। পরে বিপুল অর্থ ব্যয় করে ভেঙে যাওয়া যন্ত্রাংশ মেরামত করতে হচ্ছে। গাড়ি চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি।
এদিকে জেটিঘাটের এক ব্যবসায়ী বলেন, এ জেটিঘাটে প্রায় ৯০টি দোকান রয়েছে। এছাড়া দাখিল মাদরাসা, বন বিভাগের পরীক্ষণ ফাঁড়ি, মৎস্য উপকেন্দ্র, বাঁশ, গাছ, ব্যবসায়ী, ট্রাক চালক ও ইঞ্জিনচালিত বোট মালিক সমিতি অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় রয়েছে। এদের কাছ থেকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র (পিডিবি) প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ অর্থভাড়া বাবদ আদায় করছে। কিন্তু সড়কটি সংস্কারে করার ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না পিডিবি কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ জয়নিউজকে বলেন, জেটিঘাট সড়কটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। এটা পার্বত্য এলাকার বন্দর ও ছয় উপজেলার ট্রানজিট পয়েন্ট। প্রতিদিন পার্বত্য এলাকা থেকে আসা লাখ লাখ টাকার পণ্য উঠানামা করছে। তাই জরুরিভিত্তিতে সড়কটি মেরামত করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, সড়কটি মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণে সহযোগিতার চাইলে রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার সড়কটি দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।