নগরের ব্যস্ততম সড়ক লালখান বাজার-মুরাদপুর সড়ক। দ্রুতগতিতে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন। এ ব্যস্ততম সড়কে হঠাৎ রাস্তার মাঝখানে আগমন পাঁচ বছরের এক শিশুর। আশপাশে নেই তার কোনো অভিভাবক। পথচারীরাও অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। কেউ যাচ্ছে না তাকে রক্ষা করতে। এমতাবস্থায় তাকে রক্ষা করলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
জানা যায়, রোববার (১৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে টাইগারপাস সিটি করপোরেশন অফিস থেকে মুরাদপুর যাচ্ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এসময় রাস্তার মাঝখানে একা শিশু দেখে প্রটোকলের গাড়ি থামিয়ে নিজ গাড়ি থেকে নেমে গেলেন মেয়র। এসময় শিশুটিকে নিয়ে রাস্তা পার হয়ে শিশুটির অভিভাবকদের খুঁজতে লাগলেন তিনি। পরে মেয়রের কাছে দৌঁড়ে আসেন শিশুটির মা-বাবা। তাৎক্ষণিক ভিড় জমে পথচারী ও যাত্রীদের।
এসময় মেয়র শিশুটিকে তার মা-বাবার কাছে বুঝিয়ে দেন। তাকে কেন দেখে রাখেনি সে বিষয়েও তাদের বকা দেন মেয়র।
ঘটনার বিষয়ে জয়নিউজকে নিশ্চিত করেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মান্নান ফেরদৌস। তিনি বলেন, মেয়র মহোদয় অফিস থেকে বের হয়ে একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ রাস্তার মাঝখানে একটি শিশুকে দেখে চালককে গাড়ি থামাতে বলে নিজে নেমে শিশুটিকে নিয়ে রাস্তা পার হন। যদি মেয়র মহোদয় না নামতো তবে বড় বিপদ ঘটতে পারত। পরে শিশুটিকে তার মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করেন মেয়র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিশুটিকে নিয়ে লালখান বাজারে প্রাইভেট কারে করে এসেছিলেন তারা। এসময় বাঙালিয়ানা নামক দোকানের সামনে থেকে দৌঁড়ে রাস্তার মাঝখানে চলে যায় শিশুটি। বিষয়টি কেউ খেয়াল করেনি। মেয়র সঠিক সময়ে না আসলে বড় বিপদ হতে পারতো বলে জানান তারা।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের এমন মানবিক ঘটনা এটি প্রথম নয়। আরো একবার নগরের গণিবেকারি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তি আহত হয়ে রাস্তায় কাতরাচ্ছিলেন। ওই সময় মেয়র যাচ্ছিলেন একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে। আহত ব্যক্তিকে দেখে প্রটোকল থেকে নেমে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেছিলেন তিনি। পরে নিজের গাড়িতে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান মেয়র। এছাড়া নিজের সম্মানির পুরো টাকাও তিনি দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে বিতরণ করেন।