১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য জীবন দান করেন বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান। আজ তাঁর ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী।
মতিউর সবচেয়ে দুঃসাহসিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি করেন একাত্তরের ২০ আগস্ট। এইদিন সকালে করাচির মৌরিপুর বিমান ঘাঁটিতে তারই এক ছাত্র রশীদ মিনহাজের কাছ থেকে একটি জঙ্গি বিমান ছিনতাই করেন। কিন্তু রশীদ এ ঘটনা কন্ট্রোল টাওয়ারে জানিয়ে দিলে, অপর চারটি জঙ্গি বিমান মতিউরের বিমানকে ধাওয়া করে। এ সময় রশীদের সঙ্গে মতিউরের ধ্বস্তাধস্তি চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে রশীদ ইজেক্ট সুইচ চাপলে মতিউর বিমান থেকে ছিটকে পড়েন এবং বিমান উড্ডয়নের উচ্চতা কম থাকায় রশীদসহ বিমানটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দূরে থাট্টা এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। মতিউরের সঙ্গে প্যারাসুট না থাকাতে তিনি নিহত হন।
পাকিস্তান সরকার মতিউর রহমানের মৃতদেহ করাচির মাসরুর ঘাটির চতুর্থ শ্রেণীর কবরস্থানে সমাহিত করে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ার পর, ২০০৬ সালের ২৪ জুন মতিউর রহমানের দেহাবশেষ পাকিস্তান হতে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
মতিউর রহমানকে নিয়ে ‘অগ্নিবলাকা’ নামের একটি ডকুড্রামা নির্মাণ করা হয় ২০০২ সালে। এছাড়া তাঁর জীবনী নিয়ে ২০০৭ সালে ‘অস্তিত্বে ‘আমার দেশ’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়।
জয়নিউজ/আরএস/পিডি