লক্ষ্মীপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঈদে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল বিতরণ না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আবু সালেহ মিন্টু ফরাজী। তিনি রায়পুর দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
এ ঘটনার বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিক্ষোভ করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ট্যাক অফিসার মো. টিপু সুলতান ঘটনাস্থলে এসে ৭৭ বস্তা চাল জব্দ করেন এবং গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দুস্থদের জন্য ওই চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ঈদের আগে অসহায় ও দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ না করে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা ৭৭ বস্তা চাল আত্মসাৎ করার সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে পাহারা বসায়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর মো.সালেহসহ জড়িতদের বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর আবু জাফর মো. সালেহ তার মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন। অনেক চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় নি।
তবে ইউপি সচিব মো. তসলিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভিজিএফের ৭৭ বস্তা চাল বিতরণ না করে গুদামে মজুদ রাখা হয়েছে।
ট্যাক অফিসার মো. টিপু সুলতান জয়নিউজকে বলেন, এসব চাল ঈদের আগে অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে বিলি করার কথা ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান এসব চাল বিতরণ করেননি। প্রাথমিকভাবে ৭৭ বস্তা ভিজিএফের চাল জব্দ করে গুদামে সিলগালা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ জয়নিউজকে বলেন, ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দুস্থদের জন্য ওই চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাফর মো. সালেহ (মিন্টু ফরাজীর) চালগুলো বিতরণ করেন নাই। কি কারণে করেননি তা জানতে ঘটনাস্থলে ট্যাক অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসব চাল বিতরণ না করে গুদামে রাখার তার এখতিয়ার নেই বলেও জানান তিনি।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম বানু শান্তি জয়নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থলে ট্যাক অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উক্ত চাল বিতরণ করার জন্য চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যেদের বলা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
জয়নিউজ/আতোয়ার/বিআর