আয়োজন ছিল প্রতীকী। দাবি ছিল একটাই। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি ও ঘৃণা জানিয়ে ‘খোলা চিঠি’ পাঠানো হবে বিশ্ববিবেকের কাছে।
কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে বুধবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছিলেন নগরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের বিশেষ এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এতে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উপর হামলা কোনো সামাজিক অপরাধ নয়, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস। জাতির পিতার কন্যা ও গণতন্ত্রের মানসকন্যাকে হত্যা চেষ্টার ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন ও নিন্দনীয় অপরাধ। অথচ আজ বিশ্ব সভ্যতার ধারক-বাহক দাবিদাররা লন্ডনে সেই হামলার মাস্টারমাইন্ড বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের আদালত এই হামলার রায় দিলেও ওই আশ্রয় বিশ্ব সভ্যতার দাবিদারদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
মেয়র বলেন, বিএনপি শুধু তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টাই করেনি। তারা জজমিয়া নাটক সাজিয়ে দেশের মানুষ ও বিশ্ববিবেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাই উদ্বুব্ধ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের এই ‘বিশ্ববিবেকের কাছে খোলা চিঠি প্রেরণ’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন মেয়র।
সমাবেশের সভাপতি ও বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, এই খোলা চিঠির মাধ্যমে আমরা মূলত স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতাকে হত্যার পর তাঁর রাজনৈতিক ও আদর্শিক উত্তরাধিকারকে হত্যা চেষ্টার মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র বিরোধী ও গণবিদ্বেষী শক্তি কীভাবে মানুষের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ করেছে তাই বিশ্ববিবেকের কাছে তুলে ধরেছি।
তিনি আরো বলেন, এখনো বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। জাতিসংঘসহ বিশ্ববিবেকের কাছে আমরা বীরপ্রসবিনী চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে এই খোলা চিঠি পাঠালাম।
সমাবেশে বক্তারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। এসময় আয়োজকরা কালোব্যাজ ধারণ করেন এবং আকাশের ঠিকানায় খোলা চিঠি পাঠান।
সাংস্কৃতিক সংগঠক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা গবেষক প্রফেসর মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) বোর্ড সদস্য ও নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল আমিন ও প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী নেতা বিজয় কুমার চৌধুরী কৃষাণ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চউক বোর্ড সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি পিনাকী দাশ, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার ও সাবেক সম্পাদক সুমন দেবনাথ, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দে , ১৪ দল নেতা ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাশগুপ্ত, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দীপেন চৌধুরী, সাংবাদিক শারমিন সুমি, লায়ন আশীষ ভট্টাচার্য, যুবনেতা ওয়াহিদুল আলম শিমুল, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিষদের সুরজিত দত্ত সৈকত, নারী নেত্রী মনিকা ভট্টাচার্য, রুমকি সেনগুপ্ত, কবি সজল দাশ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইয়াসির আরাফাত, সদস্য ওয়াহিদ রাসেল ও ছাত্রলীগ নেত্রী সাবরিনা চৌধুরী ও দেশচিন্তার সাধারণ সম্পাদক ইমরান সোহেল প্রমুখ।