তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি ফাণ্ডে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে কিছু দেশি-বিদেশি এনজিও জোট বেঁধে রোহিঙ্গাদের প্ররোচিত করছে। এসব এনজিও কর্তাদের প্ররোচনা ও উস্কানির কারণে রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরে যাচ্ছে না। তাছাড়া মিয়ানমার নিয়েও তাদের মধ্যে আস্থার সংকট রয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আবার শুরু হবে। আশা করব মিয়ানমার সরকার সহযোগিতা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তারা সেখানকার পরিবেশ ধ্বংস করছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরের জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমীর ধর্মসভা শেষে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গা এসেছিল। এখন বেড়ে ১২ লাখ হয়েছে। এদের ওপর স্থানীয় জনগণ এখন বিরক্ত। তারা ইয়াবা পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে ফিরে যায় সে লক্ষ্যে ভারত-চীন কূটনৈতিক সহযোগিতা করছে। আশা করি শিগগির প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আবার শুরু হবে।
ধর্মসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতে এই বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে। পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক ব্যবস্থা ভেঙে বাংলাদেশের অভ্যুদয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা এখন খাদ্য রপ্তানি করি।
তিনি বলেন, সমস্ত মানুষের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। আপনারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রাখুন এ দেশ আপনাদের। এখানে সবার মালিকানা সমান।
গৌতম পালিত টিকলুর সঞ্চালনায় ও জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বাবুল দাশ বাবুনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রত্নাকর দাশ টুনু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গৌরাঙ্গ দে, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার।