ক্রিকেটবিশ্বে ক্রিস কেয়ার্নসকে চেনেন না এমন দর্শক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্মরণীয় অনেক ম্যাচ আছে এই কিউই অলরাউন্ডারের।
২০০০ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে কেয়ানর্সের ব্যাট-বলের দাপটে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে। এটিই ছিল নিউজিল্যান্ডের প্রথম আইসিসি ট্রফি। ওই ম্যাচে কৃপণ বোলিংয়ের পাশাপাশি ১১৩ বলে ১০২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন কেয়ার্নস। মূলত তাঁর এ পারফরম্যান্সের কাছেই ম্লান হয়ে যায় শচীন-সৌরভের ১৪১ রানের পার্টনারশিপ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮২৭৩ রানের পাশাপাশি ৪২০টি উইকেট রয়েছে কেয়ার্নসের। ১৭ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে রয়েছে অজস্র সাফল্য। তবে এর সঙ্গে রয়েছে কিছু কালির দাগও!
২০১০ সালে প্রাক্তন আইপিএল কর্তা ললিত মোদী এক টুইটে দাবি করেন, ২০০৮ সালে কেয়ার্নস ম্যাচ গড়াপেটা করেছেন। এ নিয়ে ললিত মোদীর বিরুদ্ধে মামলা করেন কেয়ার্নস। ক্ষতিপূরণ হিসেবে জিতে নেন বিশাল অঙ্কের টাকা।
এদিকে প্রাক্তন কিউই ক্রিকেটার লুই ভিনসেন্ট এবং ব্রেন্ডন ম্যাকালাম জানান, তাঁদেরও ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব দেন ক্রিস। পরবর্তী সময় ভিনসেন্টের নাম জড়িয়ে যায় ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে। তাঁকে সারাজীবনের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয়।
২০১৩ সালে কেয়ার্নসের নাম ফের জড়িয়ে যায় ম্যাচ ফিক্সিংয়ে। ভারতে আইসিএলে চণ্ডীগড় লায়ন্সের হয়ে খেলার সময় ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে তাঁর নামে। সেই মামলা এখনও চলছে।
এদিকে এই মামলার জন্য ধীরে ধীরে সব হারাতে থাকেন কেয়ার্নস। হালের অবস্থা এমন সংসার চালাতে এখন বাসস্ট্যান্ড পরিষ্কার করতে হয় এক সময়ের এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে!
হিমেল ধর/জয়নিউজ