বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আবদুল হামিদ সওদাগর উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুকান্ত ভট্টাচার্য্য।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে প্রধান শিক্ষক লোটন দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাউন্সিলর এ আশরাফুল আলম, ইউএসটিসির ইংরেজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান মসরুর উদ্দিন আনোয়ার, এম আবু নাছের ও আবদুর রহমান।
এতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক মাওলানা ছাদুর রশিদ চৌং, সেলিনা পারভীন, তুষার কান্তি মল্লিক, আবদুল মাবুদ, জাহাঙ্গীর আলম, রহিমা খালেদা, মিতা পাল, শাহেদুল আলম, টিটু দাশ, মোস্তফা কামাল, সালাম রেজা, আবু তাহের, শহিদুল ইসলাম, মান্না বড়ুয়া, জিএম মোর্শেদ, গুল নাহার, সালাহ উদ্দীন মাহমুদ, আলী আফজল, বীরেশ্বর দাশগুপ্ত ও ত্রিদিব।
প্রধান অতিথি বলেন, নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর এক ডাকে এদেশের মানুষ বাংলাদেশকে যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু নিজের জন্য কোনো কিছু চাননি। তিনি চেয়েছিলেন বাংলার মানুষ যাতে সুখে শান্তিতে বসবাস করে বিশ্বে মর্যাদার স্থান অর্জন করে। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে চক্রান্ত শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা। দেশ স্বাধীনের পর পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট পরিকল্পিতভাবে ঠাণ্ডা মাথায় নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করে তারা বলেন, ‘যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবে। ষড়যন্ত্রকারীরা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে এদেশের উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে। সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন পূরণে বাধা দিতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তারা।
বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল তারা চিহ্নিত গোষ্ঠী। তাই বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাঁর বিচার না হওয়ার জন্য জারি করা হয়েছিল বিশেষ আইন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করেছিলেন জিয়াউর রহমান।