একবছর আগে ফোম ও প্রিন্টিং মেশিন আমদানির ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ সিগারেট আনার অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানের মালিকহ ৫ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এ দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের প্রমাণ পেয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ।
প্রতিষ্ঠান দু’টি হচ্ছে- ঢাকার পুরানা পল্টনের ড. নবাব আলী টাওয়ারের মেসার্স ‘গ্রামবাংলা ফুড করপোরেশন লিমিটেড’ এবং ঢাকার মতিঝিলের রহমান ম্যানশনের ‘মেসার্স এন ইসলাম এন্টারপ্রাইজ।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার মো. নুর উদ্দিন মিলন জয়নিউজকে বলেন, একবছর আগে আমরা দুই কনটেইনার বিদেশি সিগারেট চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ করেছিলাম। সেই সিগারেট আনা হয়েছিল মিথ্যা ঘোষণায়। এছাড়া সিগারেটগুলো আমদানিও বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। মূলত মিথ্যা ঘোষণায় সিগারেট এনে দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক ও তাদের সহযোগীরা পরস্পরের যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। একবছর ধরে তদন্তের পর পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরে আসা একটি আমদানি কনটেইনারে বিদেশি সিগারেট আনার তথ্য পেয়ে সেটি আটকের পর কাস্টমসের খালাস স্থগিত ঘোষণা করে। ওই কনটেইনারে ৩৬০ বেল্ট ফোম আমদানির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ২৮ এপ্রিল কনটেইনারটি খুলে সেখান থেকে বিদেশি দু’টি ব্যান্ডের ৬ লাখ ৩০ হাজার সিগারেটের প্যাকেট এবং ১ কোটি ৩০ লাখ শলাকা জব্দ করা হয়েছিল।