নয় দফা দাবি মানা না হলে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ। এজন্য প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ম্যাজিস্ট্রেট কতৃক অধিকহারে জরিমানা আদায় ও কাগজপত্র হালনাগাদে বিআরটির কার্যক্রমে ভোগান্তির প্রতিবাদে এবং মহাসড়কে পুলিশি হয়রানি বন্ধে সংগঠনটির এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠা করেন সংগঠনের যুগ্ম-আহবায়ক গোলাম রসুল বাবুল। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তর, পূর্ব, দক্ষিণাঞ্চল ও মেট্রো এলাকাসহ সকল গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের উপর চলছে প্রশাসনিক নৈরাজ্য। এই নৈরাজ্যের ফলে জনগণের সেবায় নিয়োজিত পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা দিশাহীন হয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, পরিবহণের আজকের এই নৈরাজের জন্য পরিবহণ সংশ্লিষ্ট কিছু দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যরাই দায়ী। তারা অতীতে টোকেন বাণিজ্যের মাধম্যে কাজগপত্র ছাড়া, লাইসেন্সহীন গাড়ি সড়ক ও মহাসড়কে চলার সুযোগ করে দিচ্ছেন। ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোক্তা অধিকার আইনে বিভিন্ন ধারা প্রয়োগ করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে ইচ্ছা অনুযায়ী জরিমানা আদায় করছে। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি এবং শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এ সেক্টরে অপ্রত্যাশিত সংকট তৈরি হতে পারে, যা কারোই কাম্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দীন আহমেদ, বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহুর আহমদ, সিটি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়াসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বাস, ট্রাক, মোটর, চেয়ারকোচ কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।