বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়নি। পরে শুরু হলেও বারবার বৃষ্টির বাগড়ায় বন্ধ ছিল খেলা। শেষ সেশনেও প্রায় ১২ ওভারের মতো খেলা বাকি থাকতে আবার হানা দেয় বৃষ্টি। বাধ্য হয়ে আম্পায়াররা দিনের খেলার ইতি টানেন।
তবে এতে লাভ হলো বাংলাদেশের। কেননা ব্যাটসম্যানরা যেভাবে খেলছেন, তাতে রেকর্ডগড়ে জেতা তো পরের কথা, একদিন বাকি থাকতেই টেস্ট হারের শঙ্কায় পড়েছিল টাইগাররা। তবে এরইমধ্যে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বৃষ্টি।
চলতি টেস্টে যেভাবে আফগান স্পিনাররা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভুগাচ্ছেন তাতে নির্ধিদ্বায় বলা যায়, এ ম্যাচে টাইগারদের হার থেকে বাঁচাতে পারে একমাত্র বৃষ্টি। এদিকে আবহাওয়া অফিসও শুনাচ্ছে আশার বাণী।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সারাদিনই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জয়নিউজকে বলেন, সোমবার সকাল থেকেই চট্টগ্রামে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হবে। তবে ভারি বর্ষণ হবে না।
এদিকে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ ছিল না বাংলাদেশের। সাদমানের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে দেখেশুনেই খেলছিলেন লিটন দাস। প্রথম ১০ ওভার অনায়াসে কাটিয়ে দেওয়ার পরই বিপদের শুরু।
জহির খানের দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন লিটন দাস। ৩০ বলে করেন ৯ রান। প্রথম ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করায় প্রমোশন পেয়ে ওপরে উঠে এসেছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। খেলছিলেনও সাবলীলভাবে। কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই কাল হলো তাঁর। জহিরকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন মোসাদ্দেক।
১২ রান করা মোসাদ্দেক আউটার হওয়ার পরপরই শুরু হয় আফগান অধিনায়ক রশিদ খানের চমক। এই লেগস্পিনারের ঘূর্ণিতে মুশফিক ২৩ আর মুমিনুল ৩ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
সিনিয়রদের এই আসা যাওয়ার মাঝেও একটি প্রান্ত ধরে ছিলেন সাদমান ইসলাম। খেলছিলেন দেখেশুনে। তবে তরুণ এই ওপেনারও ফিরেছেন আফগান ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে। মোহাম্মদ নবীর বলটি ডিফেন্সই করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটি আঘাত হানে প্যাডে। ১১৪ বলে ৪ বাউন্ডারিতে গড়া সাদমানের ৪১ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিংসটির ইতি ঘটেছে তাতেই।
এদিকে শেষ বেলায় অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও বোকা বনেছেন আফগান ঘূর্ণিতে। ৭ রানের মাথায় রশিদ খানকে ডিফেন্স করতে গিয়ে শর্ট লেগে ইব্রাহিম জাদরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৩৬। শেষ দিনে জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ২৬২ রান। কিন্তু হাতে যে উইকেট মাত্র ৪টি! এ অবস্থায় পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ- এটুকু বুঝতে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
এর মাঝেও আশায় বুক বেধে আছে দেশের ক্রিকেটপাগল ভক্তরা। শেষ দিনে অন্তত ড্র নিয়ে ম্যাচ শেষ করুক টাইগাররা- এমনটাই চাইছেন তারা। আর ক্রিকেটপাগল এই ভক্তদের আশার বেলুনে হাওয়া দিচ্ছে আবহাওয়াবিদরা।