বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য।
এর আগে ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে তাদের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি বহাল থাকবে। শুধুমাত্র শোভন-রাব্বানীকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তাদের স্থানে বর্তমান কমিটির ১ নম্বর সহসভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করবেন।
জয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। এর আগে তিনি সংগঠনের ১নং সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার আগেশহীদ সার্জেট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জয়।
লেখক ভট্টাচার্যও ঢাবির শিক্ষার্থী। তিনি সংগঠনের ১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়।
কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ ১ বছর না পেরোতেই তাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ওঠে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে নানা ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কথা ওঠে আসে।
এর মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতা, নেতাকর্মীদের প্রত্যাশিত মূল্যায়ন না করা অন্যতম। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপেক্ষা, ফোন রিসিভ না করার অভিযোগও আছে।
এর বাইরে রাতজাগা ও দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, কর্মসূচিতে বিলম্বে যাওয়া, প্রধান অতিথিদের বসিয়ে রাখা, জেলা সম্মেলন করতে না পারা, বিতর্কিতদের দিয়ে কমিটি গঠনের বিষয়ও এ তালিকায় রয়েছে।