ল্যাপটপ গায়েব এবং রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা করার ঘটনায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের পিয়ন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন নগরের ডবলমুরিং থানার নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং নির্বাচন কমিশন আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, তার সহযোগী বিজয় ও বিজয়ের বোন সীমাসহ আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনকে আটক করে পুলিশে দেয় নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। পরে তার কাছ থেকে হারিয়ে’ যাওয়া একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
রাতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যায় চট্টগ্রামে কর্মরত জয়নাল আবেদীনের সহায়তায় তারা ভোটার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
কক্সবাজারে আটক হওয়াদের তথ্য নিয়ে তাদের একটি দল জয়নালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় জয়নাল তার কাছে একটি ল্যাপটপ থাকার কথা স্বীকার করেন এবং তা তার বন্ধু বিজয়ের কাছে আছে বলে জানান।
এরপর বিজয়কে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে আনা হলে তিনি বলেন, ল্যাপটপটি তার বোন সীমার কাছে আছে। সীমা ল্যাপটপটি নিয়ে রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এলে তাদের তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।
জয়নিউজ