সল্টগোলা থেকে সিমেন্ট ক্রসিং অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় জামালখানের একটি বেসরকারি সংস্থার কার্যালয়ে নাগরিক উদ্যোগের কর্মপন্থা নির্ধারণী সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এজন্য তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, আমরা চউকের সাবেক চেয়ারম্যানের কাছে একাধিকবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম, বিকল্প সড়ক সৃষ্টি না করে ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এবং পোর্ট কানেকটিং রোডের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর যেন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। নাগরিক উদ্যোগসহ বিভিন্ন পক্ষের মতামতকে উপেক্ষা করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু করার ফলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক সড়কটি যান ও জনগণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সম্প্রতি বন্দরকেন্দ্রীক যানজটের কবলে পড়ে ওই সড়কটি কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। দেরিতে হলেও বর্তমান চউক চেয়ারম্যান জনদুর্ভোগ লাঘবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় জনগণ স্বস্তিতে চলাচল করতে পারবে।
তিনি প্রয়োজনে বুয়েটের অভিজ্ঞ প্রকৌশলী দিয়ে আউটার সার্কুলার রোডের কোনো নির্মাণ ত্রুটি থাকলে তা দ্রুত সমাধান করে ওই সড়কটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে চউক চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সিমেন্ট ক্রসিং থেকে পরিত্যক্ত রেল লাইনটিও একটি বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। বর্তমানে জায়গাটি সন্ত্রাসী এবং ভূমিদস্যুদের অবৈধ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ- আলোচনা করে জায়গাটি অধিগ্রহণ করে একটি বিকল্প সড়ক নির্মিত হলে বন্দর পতেঙ্গা এলাকার জনগণ যানজটের কবল থেকে মুক্তি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তাছাড়া নগরের ক্ষতিগ্রস্ত সড়কসমূহ দ্রুত মেরামত করার চসিক মেয়রের নির্দেশ যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।
তিনি আরো বলেন, আমরা বারবার ওয়াসার এমডির কাছে গিয়ে অনুরোধ জানিয়েছি যাতে সিটি করপোরেশন নতুন রাস্তা নির্মাণ করে যাওয়ার পর ওয়াসা যেন রাস্তাগুলোকে না কাটে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে প্রতিনিয়ত রাস্তাগুলোকে কেটে ক্ষতবিক্ষত করা হচ্ছে। তিনি বলেন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সুতরাং দেশের উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকেও এগিয়ে যেতে হবে। তিনি ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে রাস্তা না কেটে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করারও আহ্বান জানান।
নাগরিক উদ্যোগের উপদেষ্টা হাজী মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, মো. নিজাম উদ্দিন, এজাহার মিয়া, মোরশেদ আলম, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, মো. শাহজাহান, শেখ মামুনুর রশীদ, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, এম ইমরান আহমেদ ইমু, মো. ওয়াসিম, মো. মাহফুজ ও মনিরুল হক মুন্না।