ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিজাত ক্লাবগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি ক্লাব সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। আটক হয়েছেন শতাধিক।
বেশকিছু ক্লাবে মিলেছে জুয়ার সামগ্রী। কোথাও মিলেছে মাদক, কোথাও ধারালো অস্ত্র।
তবে শুধু ক্লাবগুলোতেই নয়, ব্যক্তি পর্যায়ে দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের ধরতেও চলছে অভিযান।
ঢাকায় ইয়ং ম্যান্স ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমকে।
খালেদ ও শামীমকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিশেষ করে শামীমের অফিস থেকে শত কোটি টাকার এফডিআর চেক ও নগদ কয়েক কোটি টাকা উদ্ধারের পর সাড়া দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
এদিকে শুধু রাজধানী ঢাকাই নয়, চট্টগ্রামেও অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। এরমধ্যে চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা, আবাহনী ও মোহামেডান ক্লাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান চলেছে হ্যাংআউট নামে একটি পুল ও স্নুকার জোনেও।
সবমিলিয়ে দেশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাই চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
কাউছার খান নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মামু অক্কল, অভিযান আইয়ের’
সেলিম চৌধুরীর পোস্টটি ছিল এরকম, ‘আগের দিনে জমিদারের পোলা রাজনীতি করতো, ফকির হইয়া ঘরে ফিরতো!!! আর এখনকার দিনে ফকিরের পোলা রাজনীতি করে জমিদার হয়ে ঘরে ফিরে!!!’
কায়সার আলী চৌধুরী লিখেছেন, ‘আজকে হেডকোয়ার্টারের অতিথি কাল হাজতের কয়েদি, সাধু সাবধান।’
হাসান মুন্নার পোস্টে ছিল গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, ‘ক্ষমতাসীন দলের অপরাধীরাও ধরা পড়ছে। এটা অনেক বড় একটা মেসেজ। দুর্নীতির বড় কারণগুলোর একটা, আমার দল ক্ষমতায়, আমি যাই করি ধরা হবে না, এমন মানসিকতা। আলোর পথে এগিয়ে যাক দেশ।’
টিটু হুমায়ুন লিখেছেন, `আগামী বছর ক্যাসিনো লীগ চালু করা যেতে পারে। প্রিমিয়ারে লীগে সবগুলো ক্লাবই তো ফুটবলটা প্রদর্শন করে! কী?’
স্বপ্নীল স্বপনের স্ট্যাটাসটি ছিল এরকম, ‘যুবলীগ নেতা শামীমের মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর, যোগ্য পুত্র।’
স্বপ্নপরি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে ক্যাসিনো! আমিতো জানতাম বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ। এখন দেখি দরিদ্র বাংলাদেশ না, দরিদ্র আমার মস্তিষ্ক!’