চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) চাপের মুখে অবশেষে নিজেদের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করেছে জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই)। বৃহস্পতিবার নগরের ওয়াসা মোড় থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রচারণামূলক কয়েকটি বিতরণ ভ্যান জব্দ করা হয়।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) জেটিআইয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের সব বিতরণ ভ্যানগুলোকে সাদা রঙ করে দেয়। একরঙা টি-শার্ট আর ভ্যান নিয়ে নগরব্যাপী দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছিল জেটিআইয়ের বিক্রয়কর্মীরা।
আইন অনুযায়ী, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ হলেও প্রচারণা চালিয়ে আসছিল তারা। এ অবস্থায় জেটিআইয়ের প্রচারণা বন্ধের দাবি জানায় ইপসাসহ তামাকবিরোধী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
গত ২২ আগস্ট নগরভবনে চট্টগ্রাম নগরকে তামাকমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কর্মপরিকল্পনা তৈরির উদ্দেশে চসিক ও এনজিও ইপসা’র যৌথ উদ্যোগে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় প্রচারণা বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার নগরের ওয়াসার মোড় থেকে জব্দ করা হয় জেটিআইয়ের প্রচারণামূলক কয়েকটি ভ্যান। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের সব ভ্যানকে সাদা রং করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ইপসার উপ পরিচালক নাছিম বানু বলেন, ‘জাপান টোব্যাকো বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশের পর থেকেই আইন ভঙ্গ করে বিভিন্ন উপায়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রচারণা বন্ধের জন্য আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এ ধরনের মহতী উদ্যোগ চট্টগ্রামকে তামাকমুক্ত নগর হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
উল্লেখ, চলতি বছরের শুরুতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে পুঁজি করে জাপানিজ কোয়ালিটি শিরোনামে এক মিডিয়া ক্যাম্পেইনও চালিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জবসার্চ পোর্টাল বিডিজবসের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার চালিয়েছিল তারা। তবে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা’র হস্তক্ষেপে বিডিজবস কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত জেটিআইয়ের বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রয়েছে তাদের সরব উপস্থিতি।