জুয়াখেলা নিয়ে মন্তব্যের জন্য জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।
হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ছাড়াও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হককেও লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ওই আইনজীবী।
নোটিশে সংবিধানের একটি অনুচ্ছেদ ও পাবকিল গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট-১৮৬৭ এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া পাবকিল গ্যাম্বলিং অ্যাক্টের ৩,৪ এবং ১৩ ধারা অনুসারে এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
পরে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে সরকার জুয়া বন্ধে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্ত সেটা এখনো করেনি সরকার। ফলে সারাদেশে জুয়া-ক্যাসিনো প্রভাব বিস্তার করেছে। সেজন্য অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে, মানিলন্ডারিং হচ্ছে। ইদানীং সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। যাদের কিছু কিছু সংশ্লিষ্টতা আছে তাদের গ্রেপ্তার করছে। কিন্তু যারা গডফাদার তাদের গ্রেফতার করছে না।
পত্রপত্রিকায় এসেছে রাশেদ খান মেনন ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির সভাপতি। তিনি লাল ফিতা কেটে উদ্বোধন করেছেন এবং তার ছবি সেই চেয়ারম্যান কক্ষে আছে। তার বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। গতকাল মিডিয়ায় দেখেছি পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সচিব বলেছেন, বিদেশিদের জন্য ক্যাসিনোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন। এ বক্তব্য অসাংবিধানিক। এছাড়া একজন হুইপ মিডিয়ায় জুয়া বা ক্যাসিনো বন্ধ নিয়ে মন্তব্য করেছেন, এগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ক্লাব কীভাবে চলবে! এখন কথা হচ্ছে অবৈধভাবে উপার্জন করে ক্লাব চলবে?
তিনি বলেন, এ অবস্থায় লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি। এগুলোর বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানতে চেয়েছি। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব না পাওয়া যায় তাহলে ধরে নেওয়া হবে মিডিয়ায় যা এসেছে তা সত্য এবং ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করবো।
জয়নিউজ/পিডি