লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের হায়দরগঞ্জ বাজারে কিশোর গ্যাংদের সংগঠন উলফা বাহিনীর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ অটোরিকশা চালক ও মালিকরা।
এদিকে চাঁদাবাজি বন্ধ ও তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রায় তিন শতাধিক চালক ও মালিক এ বিক্ষোভ মিছিল করে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং অটোরিকশা চালকদের চাঁদাবাজি বন্ধসহ কিশোর গ্যাংদের গ্রেপ্তারে আশ্বস্থ করলে তারা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হায়দরগঞ্জ বাজারে কিশোর গ্যাংদের সংগঠন উলফা বাহিনীর সদস্য মানিক সর্দার, জজিল, মরু, শাকিল, সিরাজ ও নাদিমদের প্রতিমাসে প্রতি চালককে ৩০০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হতো। দিন দিন চাঁদার টাকা বাড়িয়ে যাওয়ায় চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে জিপির নামে অবৈধভাবে দৈনিক চাঁদা আদায় বন্ধের প্রশাসনিক হস্তক্ষেপসহ দাবি জানিয়েছেন অটোরিকশা মালিক ও চালকরা।
অটোরিকশা চালক আক্তার, সিরাজ ও জুলহাস জয়নিউজকে বলেন, প্রতিদিন এবং মাসিক চাঁদা না দিলে চাঁদা আদায়কারীদের হাতে নাজেহাল হতে হয়। অনেক সময় দুর্ব্যবহার করে চাবি ছিনিয়ে নেয়। আমরা নিয়মিত চাঁদা দিই অথচ যাত্রীদের নিয়ে সব রাস্তায় যাতায়াত করতে পারি না। সেক্ষেত্রেও সিএনজিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য বাধা দেয়। বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আমরা অটোরিকশা কিনে কোনোরকম দিনাতিপাত করছি। চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে তাদের মানবেতর জীবন-যাপন করতে হবে।
হায়দরগঞ্জ বাজারের মানিক সর্দার, জজিল, মরু, শাকিল, সিরাজ ও নাদিম জানান, তারা কিশোর গ্যাংদের সংগঠন উলফা বাহিনীর কোনো সদস্য না তারা প্রত্যেকের দলীয় পদপদবী রয়েছে। এছাড়া তারা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নয় তা উল্লেখ করে বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি জানান। একটি রাজনৈতিকভাবে কুচক্রিমহল তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোতা মিয়া জয়নিউজকে বলেন, কিশোর গ্যাংদের সংগঠন উলফা বাহিনীর বলে কিছু চলতে দেওয়া হবে না। এ সংগঠন বলে কিছু নেই তবে স্থানীয় পর্যায়ে দুটি গ্রুপ আছে। তারাও যদি অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে, তা বন্ধ করা হবে। এ বিষয়ে লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।