নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন যেখানেই যান সেখানেই হানা দেয় তাঁর ভক্ত ও অনুসারীরা। তাঁদের অনেকেই আবদার করে বসেন সেলফির। এভাবে প্রতিদিন সহস্র ভক্তের আবদার মেটাতে হয় নগরপিতার।
তবে আজকের ঘটনা একটু ভিন্ন রকম। ভক্ত-অনুরাগীদের আবদার মিটিয়ে এবার নগরপিতা আলোচনায় এসেছেন স্বয়ং সেলফি তুলে!
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ছিল সেই আয়োজন। সেখানেই পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিজের মুঠোফোনে সেলফি তুলেন নগরপিতা!
যাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত-অনুরাগী প্রতীক্ষায় থাকেন সেই ব্যক্তি নিজেই সেলফি তুললেন। শিক্ষার্থীদের কাছে এ যেন কল্পনাকেও হারিয়ে যাওয়া ঘটনা।
আরও পড়ুন: নিরহংকার নগরপিতার গল্প
এদিকে নগরপিতার সেলফি সামাজিক যোগাযোগ আপলোড হওয়ার পরপরই ভাইরাল হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নগরপিতার সেলফিটি নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সচেতন মহল।
এস এম আলাউদ্দিন বাবু নামে একজন তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, প্রাণপ্রিয় নেত্রীর জন্মদিন অনুষ্ঠানে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সাথে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রিয় নেতা সেলফিতে। আমাদের নেতা, আমাদের অহংকার, আমাদের আবেগ, আমাদের ভালোবাসা।
মো. আজিম লিখেছেন, চট্টগ্রামের মানবিক মেয়র। কোনো দিক দিয়ে তাঁকে হারানো যায় না। মানবতা ও সরলতা, আবার কঠোরতা সব গুণ তাঁর মধ্যে রয়েছে। তাইতো ছোট থেকে বৃদ্ধ সবাই মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের ভক্ত। আশা করি এ চট্টগ্রাম আপনার নেতৃত্বে বহুদূর এগিয়ে যাবে। কেউ থামাতে পারবে না এ আগ্রযাত্রা।
সালাউদ্দিন নামে আরেক জন শুধু একবাক্যে লিখেছেন, প্রজন্মের পালস বুঝে একজনই। প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কায়সার হামিদ মেয়রের সেলফি তোলার ছবিটি পোস্ট করে লিখেছেন, বীর চট্টলার সেলফিবাজ মেয়র।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাক জয়নিউজ: মেয়র নাছির
এদিকে ওই অনুষ্ঠানে নগরপিতা বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এখনো কোনো সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো এতো ডিগ্রি বা আন্তর্জাতিক পদক লাভ করেননি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যখন শিক্ষাজীবন শেষ হবে তারাই হবে এদেশের কর্ণধার। শিক্ষাথীরা যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জীবন সম্পর্কে জানতে পারে সেজনই এ আয়োজন।
বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে নগরপিতা বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। এছাড়া উপবৃত্তি চালু করায় অনেকে শিক্ষিত হতে পেরেছে। ২০৪১-এর মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল্ড মডেল হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রধান শিক্ষা কর্মকতা সুমন বড়ুয়া, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মুহাম্মদ হাসনী ও চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া।