২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণাকে বাস্তবায়নে চট্টগ্রামকে মডেল তামাকমুক্ত শহরে পরিণত করা হবে। এ জন্য পরিচালনা করা হবে ওয়ার্ডভিত্তিক তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। প্রতিটি ওয়ার্ডকে তামাকমুক্ত করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি (চসিক)করপোরেশন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় নগরের টাইগারপাসে অবস্থিত চসিক ভবনের সামনে তামাকমুক্ত চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রচারাভিযান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
‘সবুজ ও পরিচ্ছন্ন নগরী, তামাকমুক্ত চট্টগ্রাম গড়ি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবেকো ফ্রি কিডস্ (সিটিএফকে) এর সহযোগিতায় এ প্রচারাভিযানের আয়োজন করে ইপসা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চসিক। তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনায় বাজেট বরাদ্দসহ সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্যে ইপসার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের তামাকের হাত থেকে দূরে রাখতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে তামাক বিক্রয় বন্ধে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে তামাকমুক্ত রাখতে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের বিকল্প নেই উল্লেখ করে মেয়র বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকার ২০০৫ সালে আইন জারি করেছে। সেই আইন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এবং তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির জন্য এই ধরনের প্রচারাভিযান উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদ হিরোর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন রাউজানের উপজেলা চেয়ারম্যান এহেসানুল হক চৌধুরী বাবুল, কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন, ইপসার উপপরিচালক নাছিম বানু ও এন্টি ট্যোবাকো মিডিয়া এলায়েন্সের (আত্মা) আহ্বায়ক মো. আলমগীর সবুজ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, ও আত্মার সদস্য লতিফা আনসারি রুনা প্রমুখ।