এনজিও’র ঋণের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে মো. রাব্বি (৭) নামে নিজ সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন পিতা আহসান উল্লাহ।
ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের মহেশখালীর শাপলাপুর এলাকায়।
এদিকে শিশু রাব্বিকে ৬০ হাজার টাকায় কিনে নেন বোয়ালখালীর দুবাই প্রবাসী মোরশেদ খানের স্ত্রী বাচু আকতার।
জানা যায়, স্ত্রীর অগোচরে সন্তান রাব্বিকে টাকা দিয়ে গোপনে বিক্রি করেন আহসান উল্লাহ। স্ত্রী নাসিমা শিশুসন্তান রাব্বি নিখোজঁ হয়েছে বলে এলাকায় ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ করতে থাকে। একপর্যায়ে রাব্বির কোনো খোঁজ না পাওয়ায় নাসিমা তার স্বামী আহসান উল্লাহকে সন্দেহ করেন।
পরে এলাকার লোকজনের সহায়তায় নাসিমা গোপনে সংবাদ পায় তার স্বামী আহসান উল্লাহ রাব্বিকে ৬০ হাজার টাকায় প্রবাসী মোরশেদ খানের আত্মীয় রাউজানের কচুখাইনের জাকের হোসেনের মাধ্যমে প্রবাসী জাকের হোসেনের স্ত্রী বাচু আকতারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
এ সংবাদ পেয়ে নাসিমা আকতার রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্লাহর কাছে বিষয়টি জানান।
কেপায়েত উল্লাহ নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাবেদকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
পরে নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাবেদ রাউজানের কচুখাইন এলাকা থেকে জাকের হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেওয়া তথ্যমতে রাব্বির পিতা আহসান উল্লাহকে আটক করে। সবশেষ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে নগরের দিদার মাকের্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রবাসী মোরশেদ খানের বাসা থেকে রাব্বিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রবাসী মোরশেদের স্ত্রী বাচু আকতার জয়নিউজকে বলেন, স্বামী আহসান উল্লাহ রাব্বির মা মারা গেছে মিথ্যা কথা বলে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে তার কাছে তিনমাস আগে বিক্রি করে।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্লাহ ও এসআই জাবেদ তার মা নাসিমা আকতারের কাছে রাব্বিকে হস্তান্তর করেন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্লাহ বলেন, শিশু রাব্বিকে উদ্ধার করে তার মা নাসিমা আকতারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে হারানো শিশুসন্তান রাব্বিকে পেয়ে তার মা নাসিমা আকতার ও তার স্বজনেরা মহেশখালী নিয়ে গেছেন।