চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিয়ান মেরিন।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে টাইগারপাস চসিক মেয়রের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাতকালে তাঁরা উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও বিনিয়োগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারসহ বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করেন।
চসিক মেয়র করপোরেশনের নানামুখি সেবাকার্যক্রমের তথ্য রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
এসময় সিটি মেয়র বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের মৌলিক কাজ হচ্ছে তিনটি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে নগরের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
এ মৌলিক কার্যক্রমের বাইরে গিয়েও চসিক ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৬০টি দাতব্য চিকিৎসালয়, ৪টি মাতৃসদন, হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়, হেলথ টেকনোলজি, মিডওয়াইফ ইনস্টিটিউট পরিচালনা করছে। এছাড়াও সিটি মেয়র বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। এছাড়া বৈঠকে সিটি মেয়র চট্টগ্রামে শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, জাহাজ তৈরি, বৃহৎশিল্প কারখানা এবং পোশাকশিল্প কারখানা, স্টিল মিলের স্থাপনা এবং বিশেষ শিল্পাঞ্চল স্থাপন সম্পর্কে ও রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করা হয়।
প্রসঙ্গক্রমে নগরকে একটি বাসযোগ্য, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও সবুজায়ন কার্যক্রম সম্পর্কে চসিক মেয়র রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ফ্রান্সের মত বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম সকল রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো, শিল্পাঞ্চল, জ্বালানি ও সামুদ্রিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ফরাসি বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
ইতোমধ্যে কোরিয়া, চীনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা এশিল্পাঞ্চল জোনে বিনিয়োগ করছে। এমনকি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মাণ ও তা উৎক্ষেপণে ফ্রান্স ব্যবসায়ীমহলের বড় বিনিয়োগ। এরজন্য সিটি মেয়র ফ্রান্স সরকার এবং সেদেশের ব্যবসায়ীমহলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, সাগর, নদী,পাহাড় ও পর্বতবেষ্টিত এশহর যেকোনো অতিথিকে মুগ্ধ করে। আমিও আমার স্ত্রী এশহরে এসে অভিভূত হলাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে লীলাভূমি এশহরটি এখন সবুজ এবং পরিচ্ছন্ননগরী। এরজন্য তিনি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকার সায়দাবাদে পানি শোধনাগার প্রকল্পটি ফ্রান্সের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। আগামীতে এই ধরণের প্রকল্প বিভিন্ন জেলায় বাস্তবায়নের ফ্রান্স ব্যবসায়ীমহলের সদিচ্ছা আছে বলে তিনি সিটি মেয়রকে অবহিত করেন।
তিনি আরো বলেন, ফ্রান্স বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। আগামীতে এ খাতসহ ব্লু-ইকোনোমি তথা সাগরের তলদেশে লুকায়িত সম্পদ আহরণে বিনিয়োগ করবে ফ্রান্স সরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ এর পরিচালক অরমান রাফি নিজাম এবং চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু শাহেদ চৌধুরী, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম।