নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজির (হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ) শীর্ষ নেতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ।
বুধবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এর বড় মসজিদের মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার (৪৯), মো. বোরহান উদ্দিন রাব্বানী (৪২) ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম (৪৩)।
ডিএমপি জানায়, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার হুজিবির মুফতি হান্নানের ১৯৯৬ সালে গঠিত কমিটির সাংগাঠনিক সম্পাদক। পরবর্তীতে বায়তুল মাল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে দায়িত্বরত ছিলেন। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথমদিকে তিনি দুবাই হয়ে সৌদি আরব পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেন এবং সাংগঠনিক কাজে একাধিকবার পাকিস্তান যান।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা গেছে, আতিকুল্লাহ আফগান ফেরত যোদ্ধা ও বোমা বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘদিন বিদেশে পলাতক থেকে এ বছর মার্চে দেশে ফিরে সংগঠনের পুরাতন সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সাংগঠনিক কাজে সক্রিয় করা এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ করে সংগঠনের কার্যক্রম চালু করার মিশন নিয়ে ব্যাপক কর্মতৎপরতা চালায়। ইতোমধ্যে সংগঠনকে গতিশীল করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সফর করেন এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎস হতে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন তিনি। পাকিস্তান, দুবাই ও সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের জঙ্গি সংগঠনের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে। আফগানিস্তানে যুদ্ধকালীন সময়ে ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর, আইমান আল জাওয়াহেরীসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন তিনি।
এছাড়া অপর দুজন মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি এবং মো. বোরহান উদ্দিন রাব্বানী ফেনি জেলার দায়িত্বশীল ছিলেন বলে জানা যায়। তারা বর্তমানে কাশ্মীর সমস্যা এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে পরস্পর যোগসাজশে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন বলে জানায় ডিএমপি।
তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি