নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পদোন্নতির তালিকা প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এদিকে প্রত্যাশিত পদোন্নতি না হওয়াতে অনেকের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করলেও কর্তৃপক্ষ বলছে, যোগ্যদের পদোন্নতি দিয়ে তাদের সম্মানিত করা হয়েছে। যাতে ওয়াসাকে আরো গ্রাহকবান্ধব সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করা যায়।
সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, ৮ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। যারা আগে থেকেই এইসব পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন।
প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পেয়েছেন কাজী ইয়াকুব সিরাজউদ্দৌলা। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পেয়েছেন দুইজন প্রকৌশলী। এরা হলেন প্রকৌশলী মো. নুরুল আমিন ও প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম।
নির্বাহী প্রকৌশলী পদে ৪ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান, রানা চৌধুরী, সজিব বড়ুয়া ও কেয়া চৌধুরী। এছাড়া হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে মো. সোহেল।
প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পাওয়া কাজী সিরাজউদ্দৌলা জয়নিউজকে বলেন, প্রাপ্তি কার না ভালো লাগে। তাও যদি হয় কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি হয়। এখন আমার দায়িত্ব আরো অনেক বেড়ে গেছে। যে কয়দিন চাকরিতে আছি চেষ্টা করব, যেন সেরাটাই দিতে পারি।
আলোচিত-সমালোচিত জাকির
ওয়াসার প্রধান হিসাবরক্ষণ পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া। তিনি নিজেই নানা ঘটনার জন্ম দিয়ে বছরজুড়ে আলোচনায় ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা অমান্য করে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিপুল পরিমাণ ওয়াসার টাকা রেখেছিলেন পাকিস্তানি ব্যাংকে। এছাড়াও সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জাকিরের নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করে।
বারে বারে কেন পদোন্নতি বঞ্চিত হচ্ছেন, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
এবারের সিলেকশান বোর্ডে তিনিসহ উপসহকারী প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (ব্যবস্থাপনা) তৌহিদুল ইসলামের নাম থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে কারো পদোন্নতি হয়নি।
নাম থাকলেও পদোন্নতি পাননি যারা
নির্বাহী প্রকৌশলী পদে প্রথম তিনজন প্রকৌশলীর নাম থাকলেও চূড়ান্ত পদোন্নতির তালিকায় তাদের নাম আসেনি।
তারা হলেন- প্রকৌশলী আবদুল কুদ্দুস, তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযুক্ত আসামি। প্রকৌশলী ফারহানা জেবিন, তিনি অনুনোমোদিত ছুটি নিয়ে দীর্ঘদিন রয়েছেন কানাডায়। প্রকৌশলী আশিক মাহমুদ চৌধুরী, তিনি ওয়াসার চাকরি ছেড়ে বর্তমানে নগরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
কর্তৃপক্ষ বলছে…
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ জয়নিউজকে বলেন, সিলেকশন বোর্ড চেষ্টা করেছে মেধাবিদের পদোন্নতি দিতে, যারা নিজ দায়িত্বের প্রতি আন্তরিক। আমরা আশা করি, তারা সবাই (পদোন্নতি প্রাপ্তরা) কর্মক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রাখবেন। একটি কথা না বললেই নয়, দীর্ঘদিন চাকরি করলেই পদোন্নতির যোগ্য হয় না। যারা কাজের প্রতি আন্তরিক নয় ও নানা অভিযোগ রয়েছে, তারা কখনো পদোন্নতির যোগ্য বলে বিবেচিত হয়নি এবং হবেও না।