অপরাধী যেই হোক প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দেবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, নেত্রী আগেও কঠোর অবস্থানে ছিলেন এখনো আছেন। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলেও অনেক সময় আগাছা-পরগাছা ঢুকে পড়ে নানা কারণে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে এসব অপকর্মের বিষয়ে দলের দৃষ্টিভঙ্গি কী? নেতৃত্বের দৃষ্টিভঙ্গি কী? অবস্থান কী নিচ্ছে। এসব অপকর্ম যারা করে তাদের দলে কোনো প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
বিএনপি আমলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি আজ বড় বড় কথা বলে। তাদের আমলে এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, তৎকালীন সরকার তাদের বিষয়ে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, এমন উদাহরণ নেই। বুয়েটের সনি হত্যাকাণ্ডে কী হয়েছে?
সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন প্রশাসন অনেক তৎপর। বুয়েটের ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ও ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলীয় অপকর্মের শাস্তি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দলের মেয়র পর্যন্ত কারাগারে রয়েছে। আমাদের সংসদ সদস্য কারাগারে রয়েছে। আরও অনেকের মামলা বিচারাধীন। অনেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যকে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আমরা যে ব্যবস্থা নিচ্ছি, তার প্রমাণ হচ্ছে এসব ঘটনা।
বর্তমানে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ শুধু খারাপ কাজ করছে না, অনেক ভালো কাজও করছে। গুটিকয়েক সদস্যের অপকর্মের দায়ে সমস্ত ছাত্রলীগকে দোষ দেওয়া যাবে না। এ দেশের ইতিহাসে ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুলেরা কখন যে কী বলে, তা বলা মুশকিল। তারা রাজনীতির বেপরোয়া চালক। বেপরোয়া চালকেরা কখন দুর্ঘটনা ঘটায়, তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। এরা বিরোধিতার জন্যই শুধু বিরোধিতা করে। সরকারের বিরুদ্ধে শুধু বিরোধিতা করা তাদের রাজনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপির ইতিবাচক কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। কারণ, তারা জানে, তাদের আন্দোলনের কোনো ইস্যু নেই ও তারা ডাক দিলে জনগণ সাড়াও দেবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিপ্লব বড়ুয়া ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমুখ।