‘কিছু উদ্যোগ নিব, মেয়র আমাকে সহযোগিতা করবে’

চট্টগ্রামের আরো উন্নয়ন দেখার জন্য একটু অপেক্ষা করতে বলেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি

- Advertisement -

তিনি বলেন, মেয়র নাছিরের সঙ্গে আমার বিস্তারিত কথা হয়েছে। আমি কিছু উদ্যোগ নিব, মেয়র আমাকে সহযোগিতা করবেন। অপেক্ষা করুন, আপনারা আরো উন্নয়ন দেখবেন।

- Advertisement -google news follower

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) নগরের বায়েজিদে সবুজ উদ্যানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গণপূর্ত বিভাগের শুধু দুর্নাম নয় অনেক সুনামও আছে উল্লেখ করে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বলেন, মন্ত্রী থাকাকালীন গণপূর্ত বা গৃহায়নের কোনো ঠিকাদারের সঙ্গে আমার দেখা হতো না। তারা চেষ্টা করলেও আমি দেখা করতাম না। সরকারের যে নিয়ম আছে সেই অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পাবে। এখন সে যেই হোক না কেন, সেখানে আমার করার কিছু নেই। আমার কাজ হচ্ছে কাজটি ভালোভাবে হচ্ছে কি-না সেটা দেখা।

- Advertisement -islamibank

তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক অসাধু মানুষ রয়েছে। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি বিরোধী অভিযানকে আমি স্বাগত জানাই। আর যেন দুর্নীতিবাজরা কোথাও স্থান করে নিতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে।

‘আমি যখন প্রথম গণপূর্ত মন্ত্রী হলাম তখন গণপূর্ত ৬ তলা ভবন করত। আমি সেটাকে ১০তলায় উন্নীত করলাম। গতবার মন্ত্রী থাকাকালীন তা ২০তলা করেছি। গণপূর্তের সক্ষমতা এত বেশি যে রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পে আমরা তের মাসে ২০তলা ভবন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করতে পেরেছি। গণপূর্তের সক্ষমতা বাড়ছে, আমরা আরো বড় বড় প্রকল্প হাতে নিব। সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিভিন্ন স্থানে ২০তলা ভবন আছে।’

চট্টগ্রামে সুয়ারেজ প্রকল্প নেই উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, নগরবাসীর পয়বর্জ্য কর্ণফুলীতে যাচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উন্নত পয়বর্জ্য নিষ্কাষনে ব্যবস্থা আছে। সেগুলোকে আমাদের দেশেও কাজে লাগাতে হবে। কেন করতে পারছি না সেটি খেয়াল রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৫ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদল, চট্টগ্রাম ক্যান্টেনমেন্টের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন।

উল্লেখ্য, নগরের বায়েজিদের সেনানিবাস এলাকায় ৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যায়ে ‘বায়েজিদ সবুজ উদ্যান’ নির্মাণ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। দুই একরের বিশাল এ উদ্যানে ৪১ প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। রয়েছে সৃদৃশ্য বসার বেঞ্চের হাতছানি ও ৪ হাজার ফুটের ওয়াকওয়ে, শিশুদের রকমারি খেলনা, আলোর ফোয়ারা ও পানির ঝরণাধারা। সব মিলে নৈসর্গিক আয়োজন। এছাড়া উদ্যানে ২টি সৃদৃশ্য ফটক রয়েছে। বসার বেঞ্চ আছে একক ৩৯টি, দ্বৈত ৭টি। ৬০ ফুট ব্যাসের জলাধারের দুই পাশে উন্মুক্ত গ্যালারি রাখা হয়েছে। জলাধারে পানি রাখা হবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ফুট। ১ হাজার ২০০ ফুট সীমানাপ্রাচীর রয়েছে। পার্কে আসা লোকজনের জন্য নারী-পুরুষের আলাদা টয়লেট রয়েছে।

২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরায় মনিটরিং হবে উদ্যানটি। বাগানে সবুজ ঘাসে ও গাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি ছিটানোর জন্য রয়েছে ৬০টি স্প্রিঙ্কলার। পুরো উদ্যানে ১০৮টি কম্পাউন্ড লাইট, ১৬টি গার্ডেন লাইট ও ৫৫টি ফাউন্টেন লাইট রয়েছে।

জয়নিউজ/এসআই
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM