ছাত্রলীগে প্রতিযোগিতা কিসের?- প্রশ্ন রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ছাত্রলীগ করলে এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা দল ও নিজেকে বিতর্কিত করবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে নগরের এলজিইডি ভবনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্বরণসভার আয়োজন হয়।
সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন অস্বস্তিকর সময় পার করছি। যেটা হওয়ার কথা নয়। কিন্ত এ অস্বস্তিকর সময় চিরস্থায়ী নয়। আমাদের প্রত্যেক ঘটনা ধৈর্য্যের সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে। বিশেষ করে ছাত্রলীগ কর্মীদের বিতর্কিত কোনো কাজ করা যাবে না। সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে যুবলীগ-ছাত্রলীগকে সমাজ উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রয়াত নেতাদের জীবনের ত্যাগ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। দেশের জন্য তাদের অবদান আমাদের বড় পাওনা। আতাউর রহমান খান কায়সার তার নীতিআদর্শকে দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করেছেন তিনি। কায়সার ভাইদের মতো মানুষের জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে, যোগ করেন মন্ত্রী।
মুস্তফা কামাল বলেন, জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। তাই তার আদর্শকে মনেপ্রাণে ধারণ করতে হবে। সবাইকে বঙ্গন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চলনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী।
এছাড়াও এতে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা মহিউদ্দিন, দক্ষিণ জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হারুন লুবনা, মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পরিবারের পক্ষে আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মৃতিচারণ করেন সাংসদ ওয়াসিকা আয়েশা খান।