নগরে চারটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। আইনে থাকলেও নির্মাণের দীর্ঘদিন পরেও ফ্লাইওভারগুলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) হস্তান্তর করেনি সিডিএ। যদিও এজন্য সিডিএ’র কর্মকর্তারা সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের স্বেচ্ছাসারিতাকে দায়ী করেছেন।
অবশেষে ফ্লাইওভারগুলো চসিককে হস্তান্তর করা হচ্ছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ উপস্থিত ছিলেন।
সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ জয়নিউজকে বলেন, ফ্লাইওভার ও রাস্তা ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের কোনো বরাদ্দ নেই। এর ফলে আমাদেরকে ফ্লাইওভারগুলো নিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে। আমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলাম এসব চসিককে হস্তান্তর করার জন্য। বুধবার সভা হয়েছে সেখানে ফ্লাইওভারগুলো হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্রুত আমরা ফ্লাইওভারগুলো চসিককে হস্তান্তর করবো।
আগে কেন হস্তান্তর করা হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগের চেয়ারম্যান ভালো জানবেন। আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
এদিকে ফ্লাইওভারগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য সিডিএর পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় ফ্লাইওভারগুলো গড়ে উঠেছিল ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে। ছিল না নিরাপত্তা বেষ্টনী। পরিণত হয়েছিল মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। নষ্ট লাইট, অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি জমে থাকাসহ ছিল নানা অব্যবস্থাপনা।
চার ফ্লাইওভার হলো বহাদ্দারহাট ফ্লাইওভার, আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভার, কদমতলী ফ্লাইওভার ও দেওয়ানহাট ফ্লাইওভার।
জয়নিউজ/পিডি