আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। সেই সঙ্গে আবরার হত্যার ১৯ আসামিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বুয়েট অডিটোরিয়ামে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার শুরুতে এ দুই দাবি মেনে নেন তিনি।
তিনি বলেন, বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি থাকবে না। আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং মামলার খরচ বুয়েট কর্তৃপক্ষ বহন করবে। বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে সরকারকে চিঠি দেওয়া হবে।
আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার দাবিতে বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি পেশ করে। এ নিয়ে শুক্রবার বিকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য । সেখানে তিনি এসব দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে নিজের অবস্থান জানান।
বৃহস্পতিবার আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেছিলেন- উপাচার্য যদি শুক্রবার বেলা ২টার মধ্যে তাদের সঙ্গে দেখা না করেন, তাহলে বুয়েটের সব ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেবেন। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবারই উপাচার্যের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার কথা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যার ঘটনায় খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি, বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।