নগরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চলছে প্রবারণা পূর্ণিমার উৎসব। সন্ধ্যায় হাজার হাজার ফানুস আকাশে উড়িয়ে ও সমবেত প্রার্থনার মধ্যদিয়ে উৎসব শুরু হয়।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় এ উৎসব উপলক্ষে সকালে নন্দনকানন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধবিহারে ভিড় করেন উপাসকরা। এছাড়াও চট্টগ্রামের বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে এ উপলক্ষে ছিল নানা আয়োজন।
সকালে তারা গ্রহণ করেন পঞ্চশীল ও অষ্টশীল। করেন প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও বুদ্ধপূজা। দেশ ও বিশ্ব শান্তি কামনায় অংশ নেন সমাবেত প্রার্থনায়। তাতে সামিল হয় শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সববয়সের মানুষ।
প্রথা আছে, সিদ্ধার্থ গৌতমবুদ্ধ মাথার একগুচ্ছ চুল কেটে বলেছিলেন, তিনি যদি সিদ্ধিলাভের উপযুক্ত হন, তবে এই চুল যেন নিচে না পড়ে উপরে উঠে যায়। তাঁর ইচ্ছানুযায়ী চুলগুচ্ছ আকাশে উড়ে গিয়েছিল। বুদ্ধের কেশধাতুর পূজার অংশ হিসেবে আকাশে এই ফানুস ওড়ানো হয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এ পূজার মধ্য দিয়ে ফানুসের মতো পাপও আকাশে উড়ে যাবে।
নন্দনকানন বৌদ্ধমন্দিরের ভান্তে (ধর্মীয় গুরু) সত্যজিৎ জয়নিউজকে বলেন, আমরা শত শত বছর ধরে এই ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব পালন করে আসছি। গৌতম বুদ্ধ এ দিনে আকাশে চুল উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এই বিশ্বাস থেকেই এ দিনে ফানুস উড়িয়ে দিয়ে পাপমোচন হয়।